১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০০ টন দুধ দেবে চিনের ‘সুপার কাউ’!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ জুন ২০২৩, সোমবার
  • / 7

বিশেষ প্রতিবেদন: গরুর আরও উন্নত জাত ‘সুপার কাউ’ উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। সাধারণ গরুদের তুলনায় এরা আকারে বড় এবং টন টন দুধ দিতে সক্ষম। ‘সুপার কাউ’ তৈরি করা হয়েছে ক্লোন করে।

ক্লোনিং হল জীববিজ্ঞানের এমন এক জিনগত পদ্ধতি, যাতে দেহকোষ থেকে একদম একই রকম আরও একটি প্রাণী তৈরি করা যায়। বড়সড় দুধেল গরুর কানের কোষ থেকে তৈরি হচ্ছে গরুর ভ্রূণ। সেই ভ্রূণ ল্যাবরেটরিতে বিশেষ উপায়ে রাখা হচ্ছে। এমনভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে ওই ভ্রূণ যখন পূর্ণাঙ্গ হবে, তখন তার মধ্যে কোনওরকম অসুস্থতা বা স্নায়বিক জটিলতা থাকবে না।

জিনের কাটাছেঁড়া করে এই ভ্রুণগুলোকে শুরু থেকেই ‘সুপার’ করে তোলা হচ্ছে। চিনের বিজ্ঞানীরা নর্থওয়েস্ট এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির সাহায্যে গত বছর থেকেই গরুর ক্লোনিং করা শুরু করেন। কানের কোষ থেকে টিস্যু কালচার করে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। তারপর ভ্রূণে যাবতীয় বদল ঘটানোর পরে সেগুলোকে প্রতিস্থাপন করা হয় অন্য গরুর জরায়ুতে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন এই সুপার কাউ অন্য সাধারণ গরুদের থেকে আকারে বড়, ওজনেও বেশি। বাছুর জন্মানোর পর তার ওজনই ৫৬ কেজির বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক গরুর ওজন অনেক বেশি। এরা ১০০ টনেরও বেশি দুধ দিতে পারবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

১২০টি সুপার কাউ তৈরির লক্ষ্য রয়েছে চিনা বিজ্ঞানীদের। বর্তমানে পাঁচটি সুপার কাউ তৈরি হয়েছে। এই গরুগুলো একদম সুস্থ-সবল। বিজ্ঞানীদের দাবি, খামারে সুপার কাউদের কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ঘটিত রোগ হবে না। কারণ জেনেটিক ক্লোনিংয়ে তাদের ‘সুপার পাওয়ার’ দেওয়া হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১০০ টন দুধ দেবে চিনের ‘সুপার কাউ’!

আপডেট : ৫ জুন ২০২৩, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: গরুর আরও উন্নত জাত ‘সুপার কাউ’ উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। সাধারণ গরুদের তুলনায় এরা আকারে বড় এবং টন টন দুধ দিতে সক্ষম। ‘সুপার কাউ’ তৈরি করা হয়েছে ক্লোন করে।

ক্লোনিং হল জীববিজ্ঞানের এমন এক জিনগত পদ্ধতি, যাতে দেহকোষ থেকে একদম একই রকম আরও একটি প্রাণী তৈরি করা যায়। বড়সড় দুধেল গরুর কানের কোষ থেকে তৈরি হচ্ছে গরুর ভ্রূণ। সেই ভ্রূণ ল্যাবরেটরিতে বিশেষ উপায়ে রাখা হচ্ছে। এমনভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে ওই ভ্রূণ যখন পূর্ণাঙ্গ হবে, তখন তার মধ্যে কোনওরকম অসুস্থতা বা স্নায়বিক জটিলতা থাকবে না।

জিনের কাটাছেঁড়া করে এই ভ্রুণগুলোকে শুরু থেকেই ‘সুপার’ করে তোলা হচ্ছে। চিনের বিজ্ঞানীরা নর্থওয়েস্ট এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির সাহায্যে গত বছর থেকেই গরুর ক্লোনিং করা শুরু করেন। কানের কোষ থেকে টিস্যু কালচার করে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। তারপর ভ্রূণে যাবতীয় বদল ঘটানোর পরে সেগুলোকে প্রতিস্থাপন করা হয় অন্য গরুর জরায়ুতে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন এই সুপার কাউ অন্য সাধারণ গরুদের থেকে আকারে বড়, ওজনেও বেশি। বাছুর জন্মানোর পর তার ওজনই ৫৬ কেজির বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক গরুর ওজন অনেক বেশি। এরা ১০০ টনেরও বেশি দুধ দিতে পারবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

১২০টি সুপার কাউ তৈরির লক্ষ্য রয়েছে চিনা বিজ্ঞানীদের। বর্তমানে পাঁচটি সুপার কাউ তৈরি হয়েছে। এই গরুগুলো একদম সুস্থ-সবল। বিজ্ঞানীদের দাবি, খামারে সুপার কাউদের কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ঘটিত রোগ হবে না। কারণ জেনেটিক ক্লোনিংয়ে তাদের ‘সুপার পাওয়ার’ দেওয়া হয়েছে।