পুবের কলম প্রতিবেদক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে সোমবার আমৃত্যু কারাবাসের রায় ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ কোর্ট। এই রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে নাগরিক সমাজ থেকে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় একেবারেই খুশি নন, বরং আশাহত। প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও।
সোমবার রায় ঘোষণার পরে মালদার সভায় তিনি বলেন, আমাদের হাত থেকে ইচ্ছে করে কেসটা কেড়ে নিয়ে গেল। আগেই বলেছিলাম আমরা না পারলে সিবিআইকে কেসটা দিন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা চাই বিচার হোক। মমতা বলেন এই নরপিশাচদের চরম শাস্তি চাই। ফাঁসির দাবিতে আমরাও পথে নেমেছিলাম। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।
এই প্রসঙ্গে কুলতলি, জয়গাঁ, গুড়াপের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার কথা মনে করিয়ে রাজ্যের পুলিশের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে ৫০ থেকে ৫৪ দিনের মধ্যেই সাজা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর এক্ষেত্রে (আর জি কর) সাজা ঘোষণা করতে ১৬৪ দিন লেগে গেল।
সোমবার জেলা সফরে যাওয়ার আগেই বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি তো ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলাম। অনেকেই অপরাধীর ফাঁসির জন্য আন্দোলন করেছে। রাজ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কী সাজা ঘোষণা হবে, তা নির্ভর করবে, কীভাবে মামলা সাজানো হবে তার ওপর।
সোমবার মুর্শিদাবাদের সভা সেরে মালদহে গিয়ে অপরাধের সাজা শুনে হতাশ হলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, কী জানি কীভাবে মামলা সাজানো হল। তবে আমি প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলাম এখনও তাই করছি। এই ধরনের নরপিশাচদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত।