‘ হ্রাস পাচ্ছে নির্বাচনী স্বচ্ছতা! নতুন ভোটবিধিকে চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রাসিন সরকারের নির্বাচনী বিধি সংশোধনের পদক্ষেপকে এ বার শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাল কংগ্রেস। দায়ের করল রিট পিটিশন। এই প্রেক্ষিতে জয়রাম রামেশ জানান, স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব ইলেকশন কমিশনের। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা আইন যেমন তেমন করে সংশোধন করে দিলেই হল না।

 

নির্বাচনী নিয়মকানুনে কমিশনের সাম্প্রতিকতম রদবদলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ক্ষুণ্ণ হবে। ১৯৬১ সালের নির্বাচনী সংক্রান্ত বিধিতে গত ২১ ডিসেম্বর বেশকিছু সংশোধন এনেছে কেন্দ্র সরকার। তাতে নির্বাচনের পরে ইলেকট্রনিক কোনও নথির উপর আমজনতার নাগাল সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের রেকর্ডগুলির উন্মুক্ততা ভোটিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সাম্প্রতিক পরিবর্তনে এই স্বচ্ছতা ভুলন্ঠিত হতে পারে বলে আশঙ্কা।

সরকারি সূত্রের খবর, এই বিধি সংশোধন হলে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ইলেকট্রনিক নথি সাধারণ মানুষ আর দেখতে পারবেন না। যেমন বুথের ভিতরে সিসি ক্যামেরায় তোলা ভিডিয়ো, ভোট শুরুর আগে ইভিএমের মক পোলের ভিডিয়ো ইত্যাদি।

 

খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেসের অভিযোগ, সম্প্রতি হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের সময়ের ভিডিয়ো, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও নথির প্রতিলিপি চেয়ে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মাহমুদ প্রাচা। সেই আবেদন মেনে নিয়ে উক্ত জিনিসগুলো প্রাচাকে দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তার জেরেই যে নির্বাচনী বিধি সংশোধন তা মেনে নিয়েছেন আইন মন্ত্রক ও নির্বাচন কমিশনের কর্তারা বলেই খবর।

 

কংগ্রেসের দাবি, এ থেকেই বোঝা যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা দ্রুত কমছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে সিপিএম পলিটব্যুরোও৷ দাবি, কেন্দ্র ও কমিশনের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি। রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কোনওপ্রকার আলোচনা ছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য নয়।তবে সুপ্রিম কোর্ট এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder