১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধান পরিবর্তন করার সাহস নেই বিজেপির, কটাক্ষ রাহুলের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪, রবিবার
  • / 5

মুম্বাই, ১৭ মার্চ: বিজেপি সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়ের ‘সংবিধান বদল’ এর মন্তব্যের পাল্টা বিজেপিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, “বিজেপির যে কোনও বিষয়েই প্রবল শোরগোল শুরু করে, কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন করার সাহস ওদের নেই। সত্য ও জনসমর্থন আমাদের পাশেই রয়েছে।”

 

লোকসভা নির্বাচনের আগে গত রবিবার (১০ মার্চ) ফের একবার সংবিধান পরিবর্তনের বির্তক উসকে দেন বিজেপি সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়ে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলে সংবিধান পরিবর্তনের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন, ‘বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দেওয়া হবে৷’ সংবিধান সংশোধনের জন্য লোকসভায় গেরুয়া শিবিরের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার কথাও বলেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘কংগ্রেস সংবিধানকে বিকৃত করেছে। হিন্দু সমাজকে দমন করার লক্ষ্যে তাঁরা অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলি সংবিধানে যুক্ত করেছে।’

 

এরপরই কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ হেগড়ে দাবি করেন, ‘যদি লোকসভায় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। তাহলে মোদি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই কাজ সম্পূর্ণ করবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকটি রাজ্যে জয়ের প্রয়োজন। তবেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই সংবিধান পরিবর্তন করব।’ সম্প্রতি কর্নাটকে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভা নির্বাচনে তিনটি আসন জেতে কংগ্রেস, মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সাংসদ বলেন, ‘কংগ্রেসের সংখ্যা বাড়লে বিজেপি সরকার সংবিধান সংশোধনী করতে পারবে না। এজন্য মোদি জি বলেছেন ‘আব কি বার-৪০০ পার’। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের চারশো আসন জিততে হবে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সংবিধান বদলের দাবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে।

 

রবিবার মুম্বইয়ের এক সভায় রাহুল গান্ধী বলেন, “এই লড়াই বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে নয়, এ লড়াই মতাদর্শের।” তাঁর আরও বক্তব্য, “বিজেপি এক মানসিকতার পক্ষপাতী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ মনে করে যে শুধুমাত্র একজনেরই জ্ঞান আছে… কৃষক, শ্রমিক এবং বেকার যুবকদের কোনও জ্ঞান নেই।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংবিধান পরিবর্তন করার সাহস নেই বিজেপির, কটাক্ষ রাহুলের

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪, রবিবার

মুম্বাই, ১৭ মার্চ: বিজেপি সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়ের ‘সংবিধান বদল’ এর মন্তব্যের পাল্টা বিজেপিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, “বিজেপির যে কোনও বিষয়েই প্রবল শোরগোল শুরু করে, কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন করার সাহস ওদের নেই। সত্য ও জনসমর্থন আমাদের পাশেই রয়েছে।”

 

লোকসভা নির্বাচনের আগে গত রবিবার (১০ মার্চ) ফের একবার সংবিধান পরিবর্তনের বির্তক উসকে দেন বিজেপি সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়ে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলে সংবিধান পরিবর্তনের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন, ‘বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দেওয়া হবে৷’ সংবিধান সংশোধনের জন্য লোকসভায় গেরুয়া শিবিরের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার কথাও বলেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘কংগ্রেস সংবিধানকে বিকৃত করেছে। হিন্দু সমাজকে দমন করার লক্ষ্যে তাঁরা অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলি সংবিধানে যুক্ত করেছে।’

 

এরপরই কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ হেগড়ে দাবি করেন, ‘যদি লোকসভায় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। তাহলে মোদি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই কাজ সম্পূর্ণ করবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকটি রাজ্যে জয়ের প্রয়োজন। তবেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই সংবিধান পরিবর্তন করব।’ সম্প্রতি কর্নাটকে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভা নির্বাচনে তিনটি আসন জেতে কংগ্রেস, মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সাংসদ বলেন, ‘কংগ্রেসের সংখ্যা বাড়লে বিজেপি সরকার সংবিধান সংশোধনী করতে পারবে না। এজন্য মোদি জি বলেছেন ‘আব কি বার-৪০০ পার’। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের চারশো আসন জিততে হবে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সংবিধান বদলের দাবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে।

 

রবিবার মুম্বইয়ের এক সভায় রাহুল গান্ধী বলেন, “এই লড়াই বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে নয়, এ লড়াই মতাদর্শের।” তাঁর আরও বক্তব্য, “বিজেপি এক মানসিকতার পক্ষপাতী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ মনে করে যে শুধুমাত্র একজনেরই জ্ঞান আছে… কৃষক, শ্রমিক এবং বেকার যুবকদের কোনও জ্ঞান নেই।”