১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 চিনে ফের কোভিড সুনামি, জুনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা    

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
  • / 9

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০২০ সাল থেকেই গোটা দুনিয়ায় দাপট দেখিয়ে বেড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। বারবার ভোল বদলানোয় প্রায় তিন বছর করোনার চোখ রাঙানি দেখেছে বিশ্ব। তবে আপাতত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে কোভিড গ্রাফ।  তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ফের চিনে সংক্রমণ বাড়ছে করোনার।  তা বাড়তে বাড়তে জুনের শেষেই সাড়ে ৬ কোটি ছুঁতে পারে সাপ্তাহিক সংক্রমণ।

চিনের মহামারি বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান সোমবার জানিয়েছেন যে, এক্সবিবি ওমিক্রন উপরূপের সঙ্গে লড়াইয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে দু’টি নতুন টিকা চালু করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই করোনার আরও তিন থেকে চারটি টিকা সরকারি অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, গত বছরের শীতে কঠোর কোভিড শূন্য নীতির পথে হেঁটেছিল চিন। তবে সেই বিধিনিষেধ তুলে নিতেই নাকি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের ভ্যারিয়্যান্ট এক্সবিবি দাপট দেখাচ্ছে গত এপ্রিল থেকে। মাস দুয়েক ধরেই চিনে সাপ্তাহিক সংক্রমণ ৪ কোটির ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে। আগামী দিনে  তা আরও বাড়বে। আগামী মাসের শেষেই নয়া ভ্যারিয়েন্টের ধাক্কায় সাপ্তাহিক সংক্রমণ সাড়ে ৬ কোটি ছুঁতে পারে।

এদিকে, চিনে একটা সময় দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন কোটিও ছুঁয়েছে। একেবারে  ভেঙে পড়েছিল দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। হাসপাতালে বেড নেই। ওষুধ বাড়ন্ত। সেই  ধাক্কা কোনওমতে সামলানো গেলেও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক’‌দিন আগেই জানিয়েছে, আরও ভয়ঙ্কর অতিমারি আসতে পারে। যা করোনার আতঙ্ককেও ছাপিয়ে যাবে। চিনের বর্তমান করোনা পরিসংখ্যান  কিন্তু সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। অন্যান্য দেশেও বা এর প্রভাব কতটা পড়বে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। এই যখন অবস্থা, তখন চিন ফের টিকার উপর জোর দিতে শুরু করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

 চিনে ফের কোভিড সুনামি, জুনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা    

আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০২০ সাল থেকেই গোটা দুনিয়ায় দাপট দেখিয়ে বেড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। বারবার ভোল বদলানোয় প্রায় তিন বছর করোনার চোখ রাঙানি দেখেছে বিশ্ব। তবে আপাতত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে কোভিড গ্রাফ।  তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ফের চিনে সংক্রমণ বাড়ছে করোনার।  তা বাড়তে বাড়তে জুনের শেষেই সাড়ে ৬ কোটি ছুঁতে পারে সাপ্তাহিক সংক্রমণ।

চিনের মহামারি বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান সোমবার জানিয়েছেন যে, এক্সবিবি ওমিক্রন উপরূপের সঙ্গে লড়াইয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে দু’টি নতুন টিকা চালু করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই করোনার আরও তিন থেকে চারটি টিকা সরকারি অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, গত বছরের শীতে কঠোর কোভিড শূন্য নীতির পথে হেঁটেছিল চিন। তবে সেই বিধিনিষেধ তুলে নিতেই নাকি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের ভ্যারিয়্যান্ট এক্সবিবি দাপট দেখাচ্ছে গত এপ্রিল থেকে। মাস দুয়েক ধরেই চিনে সাপ্তাহিক সংক্রমণ ৪ কোটির ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে। আগামী দিনে  তা আরও বাড়বে। আগামী মাসের শেষেই নয়া ভ্যারিয়েন্টের ধাক্কায় সাপ্তাহিক সংক্রমণ সাড়ে ৬ কোটি ছুঁতে পারে।

এদিকে, চিনে একটা সময় দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন কোটিও ছুঁয়েছে। একেবারে  ভেঙে পড়েছিল দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। হাসপাতালে বেড নেই। ওষুধ বাড়ন্ত। সেই  ধাক্কা কোনওমতে সামলানো গেলেও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক’‌দিন আগেই জানিয়েছে, আরও ভয়ঙ্কর অতিমারি আসতে পারে। যা করোনার আতঙ্ককেও ছাপিয়ে যাবে। চিনের বর্তমান করোনা পরিসংখ্যান  কিন্তু সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। অন্যান্য দেশেও বা এর প্রভাব কতটা পড়বে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। এই যখন অবস্থা, তখন চিন ফের টিকার উপর জোর দিতে শুরু করেছে।