মায়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোচার তাণ্ডব প্রাণ কেড়েছে বহু রোহিঙ্গা মুসলিমের

- আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 8
পুবের কলম , ওয়েবডেস্ক: মায়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোচার তাণ্ডব প্রাণ কেড়েছে বহু রোহিঙ্গা মুসলিমের। রবিবার মায়ানমারের সিতওয়া উপকূলে প্রবল গতিবেগে আছড়ে পড়ে মোচা। ল্যান্ডফলের সময় এই সাইক্লোনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার।
বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা ট্যুইট করে জানিয়েছে, মোচার তাণ্ডব বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে। আহতের সংখ্যা বহু। ধবংসলীলার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে তারা। আরও একটি ট্যুইটে বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য চাল পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম মায়ানমার অঞ্চল লক্ষাধিক রোহিঙ্গার আবাসস্থল। এরা নির্যাতিত সংখ্যালঘু, যাদের সরকার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গারা বসবাস করছে।
নিউজ পোর্টাল মায়ানমার নাউ জানিয়েছে, কমপক্ষে ২২ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। অপরদিকে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায় ১০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে। অপর দুই বাসিন্দা জানিয়েছেন, বহু রোহিঙ্গার প্রাণ কেড়েছে ঘূর্ণিঝড় মোচা।
প্রসঙ্গত, মোচার তাণ্ডবে মায়ানমারে কমপক্ষে ৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। অপরদিকে অসমর্থিত সূত্রের খবর, প্রাণ গেছে ১০০’র বেশি মানুষের।
মঙ্গলবার মায়ানমারের সরকারি সংবাদ মাধ্যম হতাহতের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনও উল্লেখ করেনি। তবে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে সিটওয়েতে গিয়েছিলেন। ঝড়ের ল্যান্ডফলের আগেই মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ৪ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের মানবিক কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, ঝড়ের আগে এই অঞ্চলের প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম ও ত্রাণ গ্রুপের সূত্রে জানা গিয়েছে, মোচা ভয়ঙ্কর গতিতে ধবংসলীলা চালিয়েছে মায়ানমারে। মায়ানমার সেনা সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বহু ট্রান্সফর্মার উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক এলাকার মোবাইল টাওয়ার, ল্যাম্পপোস্ট। কোকো আইল্যান্ডের স্পোর্টস বিল্ডিংয়ের ছাদ উড়ে গিয়েছে। তবে জান্তা সরকার এখনও সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলেনি। কিন্তু বিপুল ক্ষতির আশঙ্কাই করছে মায়ানমার প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মায়ানমারে ধবংসলীলা চালায় ঘূর্ণিঝড় নার্গিস। এই ঝড়ের তাণ্ডব ১,৪০,০০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়।