BREAKING:
রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে রাজ্য সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। বৃহস্পতিবারের মেগা বৈঠকের আগেই রবিবার একান্ত আলোচনায় মমতা-অভিষেক বিরাট মরুদ্যানে ভারত উদয় গাজায় আর কতজন জিম্মি আছেন? সাংসদ রকিবুল হোসেনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাল অসম রাজ্যিক জমিয়ত উলামা মহারাষ্ট্রে রমযান মাসে সরকারি কর্মীদের ১ ঘন্টা আগে ছুটি দেওয়ার দাবি মুম্বইয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ হিন্দি ভাষা চাপানো নিয়ে তপ্ত হচ্ছে তামিলনাড়ু সউদিতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা খলিমুদ্দিন শেখের, দেড় মাস পর বাড়িতে ফিরল লাশ ইএম বাইপাসকে নির্বিঘ্নে সচল রাখতে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

আপের ২২ জনের মধ্যে ১৪ জন মুসলিম ও দলিত

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নয়াদিল্লি, ৯ ফেব্রুয়ারি: অসন্তুষ্ট থাকলেও বিজেপির গেরুয়া আগ্রাসন রুখতে দিল্লির দলিত ও মুসলিমরা আপের উপরই বেশি ভরসা রেখেছে। কেজরিওয়ালের দল যাদের প্রতি বেশি নজর দেয়নি তারাই হয়ে পড়েছেন আপের চালিকাশক্তি। ২২ বিধায়কের মধ্যে ১৪ জনই দলিত ও মুসলিম। সামনে এলো নয়া সমীকরণ।

৮ ফেব্রুয়ারি ঝাড়ু-ঝড় থামিয়ে ২৭ বছর পর ফের দিল্লিতে ফুটেছে পদ্ম। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ  সিসোদিয়া, সৌরভ ভরদ্বাজের মতো হেভিওয়েট আপ নেতাদেরও হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ভোট শতাংশে বিজেপির থেকে আপ খুব একটা পিছিয়ে না থাকলেও আসন জয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। বিজেপির দখলে গিয়েছে ৪৮টি এবং আপ-এর ঝোলায় পড়েছে ২২টি আসন। পদ্ম ও আপ শিবিরের ভোট শতাংশ যথাক্রমে ৪৫.৫৬ ও ৪৩.৫৭ শতাংশ। তবু দিল্লির দলিত ও পিছিয়েপড়া বিধানসভা আসনগুলির ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখতে সফল হয়েছে আম আদমি পার্টি।

তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত মোট ১২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে আটটিতে জয়লাভ করেছে আপ। সেই আসনগুলি হল কোন্ডলি, আম্বেদকর নগর, দেওলি, সীমাপুরি, গোকুলপুরী, প্যাটেল নগর, করোল বাগ এবং সুলতানপুর মাজরা। উলটো দিকে বিজেপি মাত্র চারটি সংরক্ষিত আসনে জিততে সমর্থ হয়েছে। আসনগুলি হল, ত্রিলোকপুরী, মাদিপুর, মঙ্গোলপুরি এবং বাওয়ানা।

READ MORE: মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলি সরকারি বাসের বিশেষ পরিষেবা দেবে পরিবহন দফতর

তবে গত দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে, রাজ্যের সব সংরক্ষিত আসনে জিতেছিল আপ। ১৯৯৩ থেকে দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। তারপর থেকে ২০২০ পর্যন্ত যে দল সব থেকে বেশি সংখ্যক সংরক্ষিত আসন জিতেছে, সেই দলই দিল্লির তখতে বসেছে। কিন্তু ২০২৫-এর নির্বাচনে সেই ‘মিথ’ও ভেঙে গেল। ১২টির মধ্যে ৮টি দলিত আসনে জয়লাভের পরও কেজরির আপ সরকার গড়তে অসমর্থ হয়েছে। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি জিতেছে ৪৮টি আসনে। আপ ২২টি আসনে জয়লাভ করেছে। ১৯৯৩-এর পর সংরক্ষিত আসনে সাফল্য পেল বিজেপি।

বাওয়ানা আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির রবীন্দ্র ইন্দ্ররাজ সিং। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আপ-এর জয় ভগবান। গত ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে ৪৮.৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন আপ-এর জয় ভগবান। ২০১৫-তেও আপ-এর আধিপত্য ছিল এই আসনে। সেবার আপ প্রার্থী বেদ প্রকাশ ৫৮.১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।

সুলতানপুর মাজরা আসনে আপ প্রার্থী মুকেশ কুমার আহলাওয়াত ৫৮,৭৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ৪১৬৪১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন বিজেপি প্রার্থী কর্ম সিং কর্মা। ২০২০-র নির্বাচনে আপ-এর মুকেশ কুমার আহলাওয়াতই জয়ী হয়েছিলেন। সেবার তিনি ৬৬.৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল ২৩.৬৫ শতাংশ। ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে আপ প্রার্থী স¨ীপ কুমার ৬৯.৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন সুলতানপুর মাজরা আসনে। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল ১৩.৭১ শতাংশ।

মঙ্গোলপুরী, করোল বাগ, প্যাটেল নগর, মাদিপুর, গোকলপুরী, সীমাপুরী, দেওলি, আম্বেদকর নগর, ত্রিলোকপূরী, কোন্ডলির মতো দলিত আসনগুলিতে গত নির্বাচনগুলোতে আপ তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছিল। সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যা থেকে অনেকটাই পিছনে থাকলেও আপ দলিত-মুসলিম অধ্যুষিত আসনে ভালো ফল করেছে। আপ যে ২২টি আসন জিতেছে, তার মধ্যে ১৪টি দলিত ও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে।

২০২৫-এর নির্বাচনে আপ-এর আসন সংখ্যা কমলেও আপ তাদের ভোট শতাংশ (৪৩.৫৭) ধরে রেখেছে। এরফলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে আপ শহরের দরিদ্রদের মধ্যে তাদের সমর্থনের ভিত্তি অনেকাংশে ধরে রেখেছে। সেইসঙ্গে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল যে কেন্দ্রের গেরুয়া শাসকদের প্রতি রুষ্ট রয়েছেন দলিত ও মুসলিমরা। আর এই সমীকরণ কিন্তু দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারে বিজেপিকে।

মুস্তাফাবাদ কেন্দ্রের নাম হবে শিবপুরী অথবা শিববিহার, বললেন বিস্ত

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder