১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাপরায় বিষমদে মৃত্যু, নীতীশকে তীব্র আক্রমণ বিজেপি বিধায়কদের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মঙ্গলবার বিহার বিধানসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে মহাজোট সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি। মদে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছাপরায় বিষমদে ২০ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও রয়েছে বেশ  কিছু মানুষ। বিষমদে মৃত্যু নিয়ে বিহার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তুমুল বাক-বিতন্ডায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মৃত্যুর জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দায়ী করে বিজেপি সদস্যরা সদনের ভিতরে-বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

 

বিরোধীদের হট্টগোলে মেজাজ হারান নীতীশও। বিজেপি বিধায়ককে লক্ষ্য করে বলেন কি এমন হয়ে গিয়েছে, চুপ করো। নীতীশের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়করা এরপর তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলে। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার। নীতীশের পক্ষে মন্ত্রী সুনীল কুমার বলেন, ব্রিটিশ আমলেও আইন তৈরি হতো এবং লঙ্ঘনও হতো। ব্রিটিশদের আমলে ধর্ষণ-হত্যা রোধে আইন তৈরি হলেও আজও নৃশংসতা বন্ধ হয়নি। মদ বিক্রি হলে পুলিশ তদন্তও করছে, বিষমদে মৃত্যু অন্য রাজ্যেও হয়।

 

অন্যদিকে, বেগুসরাইয়ের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেন, বেড়াচ্ছে। রাজ্যে রোজ বিষমদে মৃত্যু হচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী নিজের একগুয়েমিতেই অনড় রয়েছেন। বিহারে মদ ভগবানের মতো হয়ে গেছে। ভগবান যেমন দেখা যায় না অথচ সব জায়গায় উপস্থিত থাকেন।

 

মুখ্যমন্ত্রীর নাকের ডগায় মদ বিক্রি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নীতীশ কুমার বলছেন বিজেপির হাত আছে। তাহলে তদন্ত করুক সরকার। বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়ক কেদার প্রসাদ গুপ্তা বলেন, বিহারে নীতীশ-রাজ শেষ হয়ে গেছে। সরকার বিষমদকাণ্ড নিয়ে আলোচনা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিজেপির বিধান পরিষদের সদস্য সম্রাট চৌধুরীও সরাসরি নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করে বলেন, নীতীশ কুমারের ১ হাজার ভোট রয়েছে, উনি মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার কে।

 

বিহারের মানুষই নীতীশ মুক্ত রাজ্য চাইছে। সম্রাট চৌধুরী বিষমদে মৃত্যু দায়ে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে মামলা  রুজু করে জেলে পাঠানো উচিত। আরজেডি বিধায়ক ও প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী সুধাকর সিংহও বিষমদ ইস্যুতে নীতিশকে দায়ী করেন।

 

তিনি বলেন, মদে নিষেধাজ্ঞা শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলগুলি পার্টি ফান্ডিং এবং ব্যক্তিগত লাভ দেখায় মদে নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ ফেল করছে। বাস্তবত বিহারে মদে নিষেধাজ্ঞা বলে কিছুই নেই সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ছাপরায় বিষমদে মৃত্যু, নীতীশকে তীব্র আক্রমণ বিজেপি বিধায়কদের

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মঙ্গলবার বিহার বিধানসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে মহাজোট সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি। মদে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছাপরায় বিষমদে ২০ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও রয়েছে বেশ  কিছু মানুষ। বিষমদে মৃত্যু নিয়ে বিহার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তুমুল বাক-বিতন্ডায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মৃত্যুর জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দায়ী করে বিজেপি সদস্যরা সদনের ভিতরে-বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

 

বিরোধীদের হট্টগোলে মেজাজ হারান নীতীশও। বিজেপি বিধায়ককে লক্ষ্য করে বলেন কি এমন হয়ে গিয়েছে, চুপ করো। নীতীশের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়করা এরপর তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলে। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার। নীতীশের পক্ষে মন্ত্রী সুনীল কুমার বলেন, ব্রিটিশ আমলেও আইন তৈরি হতো এবং লঙ্ঘনও হতো। ব্রিটিশদের আমলে ধর্ষণ-হত্যা রোধে আইন তৈরি হলেও আজও নৃশংসতা বন্ধ হয়নি। মদ বিক্রি হলে পুলিশ তদন্তও করছে, বিষমদে মৃত্যু অন্য রাজ্যেও হয়।

 

অন্যদিকে, বেগুসরাইয়ের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেন, বেড়াচ্ছে। রাজ্যে রোজ বিষমদে মৃত্যু হচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী নিজের একগুয়েমিতেই অনড় রয়েছেন। বিহারে মদ ভগবানের মতো হয়ে গেছে। ভগবান যেমন দেখা যায় না অথচ সব জায়গায় উপস্থিত থাকেন।

 

মুখ্যমন্ত্রীর নাকের ডগায় মদ বিক্রি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নীতীশ কুমার বলছেন বিজেপির হাত আছে। তাহলে তদন্ত করুক সরকার। বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়ক কেদার প্রসাদ গুপ্তা বলেন, বিহারে নীতীশ-রাজ শেষ হয়ে গেছে। সরকার বিষমদকাণ্ড নিয়ে আলোচনা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিজেপির বিধান পরিষদের সদস্য সম্রাট চৌধুরীও সরাসরি নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করে বলেন, নীতীশ কুমারের ১ হাজার ভোট রয়েছে, উনি মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার কে।

 

বিহারের মানুষই নীতীশ মুক্ত রাজ্য চাইছে। সম্রাট চৌধুরী বিষমদে মৃত্যু দায়ে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে মামলা  রুজু করে জেলে পাঠানো উচিত। আরজেডি বিধায়ক ও প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী সুধাকর সিংহও বিষমদ ইস্যুতে নীতিশকে দায়ী করেন।

 

তিনি বলেন, মদে নিষেধাজ্ঞা শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলগুলি পার্টি ফান্ডিং এবং ব্যক্তিগত লাভ দেখায় মদে নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ ফেল করছে। বাস্তবত বিহারে মদে নিষেধাজ্ঞা বলে কিছুই নেই সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।