২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেবাননকে দেউলিয়া ঘোষণা করলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 10

পুবের  কলম ওয়েবডেস্ক : রাষ্ট্র হিসেবে লেবানন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল শামি এ কথা ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় আল জাদিদ চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাই রাষ্ট্রও দেউলিয়া। এখন আমরা জনগণের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ক্ষতিগুলো রাষ্ট্র, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আমানতকারী ব্যাংক ও আমানতদারীদের মধ্যে ভাগ করা হবে। ‘ক্ষতির বণ্টন নিয়ে কোনও মতবিরোধ নেই’, বলেন তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি ‘অবজ্ঞা করার মতো’ নয়। তাই ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না। আমরা আশা করছি আমরা একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাব। নানান সংকটের কারণে লেবাননের মুদ্রার মান ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গেছে। ফলে দৈনন্দিন সাধারণ চাহিদাগুলোও দেশটির জনগণ পূরণ করতে পারছিল না। খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো অধরা হয়ে যায় তাদের কাছে। জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়ও ধস নেমেছিল।

 

২০১৯ সালের নভেম্বর থেকেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে লেবানন। যার মধ্যে ছিল মুদ্রার চরম অবমূল্যায়ন এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা ঘাটতি। করোনাভাইরাস মহামারী ও বৈরুত বন্দরে ২০০২ সালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। ওই বিস্ফোরণে ২১৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এমন ছিল যে রাজধানীর একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।দেশটির এ অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লেবাননকে দেউলিয়া ঘোষণা করলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

পুবের  কলম ওয়েবডেস্ক : রাষ্ট্র হিসেবে লেবানন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল শামি এ কথা ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় আল জাদিদ চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাই রাষ্ট্রও দেউলিয়া। এখন আমরা জনগণের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ক্ষতিগুলো রাষ্ট্র, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আমানতকারী ব্যাংক ও আমানতদারীদের মধ্যে ভাগ করা হবে। ‘ক্ষতির বণ্টন নিয়ে কোনও মতবিরোধ নেই’, বলেন তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি ‘অবজ্ঞা করার মতো’ নয়। তাই ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না। আমরা আশা করছি আমরা একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাব। নানান সংকটের কারণে লেবাননের মুদ্রার মান ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গেছে। ফলে দৈনন্দিন সাধারণ চাহিদাগুলোও দেশটির জনগণ পূরণ করতে পারছিল না। খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো অধরা হয়ে যায় তাদের কাছে। জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়ও ধস নেমেছিল।

 

২০১৯ সালের নভেম্বর থেকেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে লেবানন। যার মধ্যে ছিল মুদ্রার চরম অবমূল্যায়ন এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা ঘাটতি। করোনাভাইরাস মহামারী ও বৈরুত বন্দরে ২০০২ সালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। ওই বিস্ফোরণে ২১৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এমন ছিল যে রাজধানীর একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।দেশটির এ অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।