পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ক্ষমতাবান আর ক্ষমতাশূন্যদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমাদের মধ্যবিত্ত জীবন প্রায়শই একটা প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়ায়, আদর্শ আঁকড়ে থাকা না সারভাইভ করা- কোন পথে যাব ? সেই বিষয়কে ভিত্তি করে ফোর্থ ফ্লোর এন্টারটেনমেন্ট ও কনসেপ্ট কিউবের প্রযোজনায় পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরীর নতুন সিনেমা, “ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন”। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন, ঋষভ বসু, বাদশা মৈত্র, কোরক সামন্ত, সুদীপ মুখার্জি, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিকা পাল, যুধাজিৎ সরকার, আনন্দরূপা চক্রবর্তী, সেঁজুতি মুখার্জী, দীপক হালদার, শান্তনু নাথ, অরুণাভ খাসনোবিশ, প্রেরণা দাস।
সিনেমাটি গত ডিসেম্বরে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বেঙ্গলি প্যানোরমা বিভাগে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। পাশাপাশি দেশে বিদেশে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফেস্টিভ্যালে মনোনীত এবং পুরস্কৃত হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
“ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন” একটি ক্রাইম ড্রামা এবং সায়েন্স ফিকশন জঁরের চলচ্চিত্র। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ধ্রুব নিজের প্রেমিকা রিমির পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে এক জটিল মুহূর্তের সম্মুখীন হয়। ধ্রুব বুঝতে পারে রিমিদের জন্য টাকা জোগাড় করতে গেলে তাঁকে একটা অপরাধ করতে হবে। কিন্তু রিমি চায় না ধ্রুব কোনও খারাপ কাজ করুক। ধ্রুবকে দুটো রাস্তার মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নিতে হবে।
সমাজের চোখে কোনটা অপরাধ এবং কোনটা নয়- নৈতিকতার এই টানাপোড়েনে ধ্রুবর জীবন কখনো ডুবে যায়, কখনো ভেসে ওঠে।
চারটে অধ্যায়ে সিনেমাটি ধ্রুবর জীবনের চারটি সম্ভাবনার গল্প বলে। প্রতিটি সম্ভাবনা নিয়ে গড়ে ওঠে চারটি ভিন্ন জগৎ, যেখানে ধ্রুবর জীবন ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়।
সিনেমাটি সম্পর্কে পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ধ্রুবর জীবনের চারটি সম্ভবনা চারটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে। চারটে অধ্যায়ে চারজন কিংবদন্তি বাঙালি আর্টিস্টকে ট্রিবিউট দেওয়া হয়েছে- যামিনী রায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিকাশ ভট্টাচার্য, বিনোদ বিহারী মুখার্জ্জি।
অভিনেতা ঋষভ বসু বলেন, এই স্ক্রিপ্টের সবথেকে রোমাঞ্চকর বিষয় হচ্ছে বাংলার চার জন চিত্রশিল্পীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই ছবিতে এতো গুলো দিক আছে ; এই ছবিটার মধ্যে একটা লাভ স্টোরি আছে, থ্রিলার এলিমেন্ট আছে, সাইন্স ফিকশন মোমেন্টস আছে, তাই এটাকে একটামাত্র জঁর-এর ছবি বলা যায় না, অনেকগুলো জঁর-এর ছোঁয়াই আছে ছবির মধ্যে। আর এটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় স্ক্রিপ্টের।
অন্যদিকে অভিনেত্রী ঋত্তিকা পাল বলেন, এই ছবিতে চিত্রকলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এবং এটি কীভাবে ফুটে উঠবে, তা দেখার জন্য আমি ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম। আমাদের টিমটি ছিল দুর্দান্ত, আর সবাই শুটিং সেটে খুবই মজার ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেছিল। আমার শুটিংয়ের দিন বেশি ছিল না। তবে শেষ দিন আমরা এক অসাধারণ লোকেশনে গিয়েছিলাম, যা সত্যিই স্মরণীয়।