এবার সাত হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করল ডিজনি
- আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 13
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে একের পর এক আইটি জায়ান্ট গুলি হেঁটেছে ছাঁটাইয়ের রাস্তায়। অ্যামাজন, গুগল, মেটা প্রায় বাদ যায়নি কেউই। এরপর সেই একই পথের পথিক হতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন সংস্থা ডিজনি মাউস হাউস। দুনিয়া জুড়ে ছোট থেকে বড় সবার কাছেই অতি জনপ্রিয় মিকি ও মিনি মাউস। এই দুই ইঁদুরের কর্মকান্ড দেখে গোমড়া মুখে হাসি ফোটেনি এমন মানুষ কমই আছেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্যর ওয়াল্ট ডিজনির থিম পার্কে ভিড় জমান অগনিত পর্যটক। বুধবার ছাঁটাই এর কথা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে ডিজনি। মোট ৭০০০ কর্মীকে বসিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিজনি কর্তৃপক্ষ। এরফলে শতাংশের হিসেবে ৩.৬ % কর্মীকে ছাঁটাইয়ের রাস্তা দেখাতে চলেছে এই সংস্থা।
আর্থিক ব্যয়ভার কমানোর জন্যই এই বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছেঁটে ফেলছে ডিজনি।বলছেন ডিজনির সিইও বব ইগার। এই ঘোষণার পর ইগার জানিয়েছেন “‘আমি এই সিদ্ধান্তকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। বিশ্বজুড়ে আমাদের কর্মীদের প্রতিভাকে আমি অত্যন্ত সম্মান ও প্রশংসা করি’।
ইগার আরও বলছেন নতুন পরিকল্পনাটি কোম্পানিকে ৩টি বিভাগে পুনর্গঠন করবে। প্রথমত ফিল্ম, টিভি ও স্ট্রিমিংসহ একটি বিনোদন ইউনিট, দ্বিতীয়ত একটি ক্রীড়াকেন্দ্রিক ইউনিট ও তৃতীয়ত ডিজনি পার্ক ও পণ্যের সম্প্রসারণ।
বার্ষিক ৫০০ কোটির বেশি খরচ বাঁচাতে ও ডিজনি প্লাস স্ট্রিমিংকে লাভজনক করে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে ডিজনিতে ফিরে আসার পর ৩ মাসের আর্থিক ফলাফল ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন ডিজনির সিইও বব ইগার। সেখানে প্রতিষ্ঠানের আয়বৃদ্ধি লক্ষ করা গেলেও, ২০১৯ সালে চালু হওয়া ডিজনি প্লাসের গ্রাহকসংখ্যা হ্রাস পেতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য বব ইগার প্রায় দু দশক ধরে ডিজনির সিইও হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করার পর দায়িত্বে আসেন বব চ্যাপেক। তবে খুব সম্প্রতি চ্যাপেককে সরিয়ে ফের ফিরিয়ে আনা হয় ইগারকে।
তবে নতুন মেয়াদে খরচের লাগাম টানতে সিইও হিসেবে ইগারের বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কোম্পানিটি এখন প্ল্যান বি-তে কাজ করছে।আয় ও ব্যয়ের সমতা ফেরাতে তে এখন মরীয়া বিনোদন জায়েন্ট ডিজনি।