১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসায় ডাক্তারও তৈরি হয় ,নিট-এ সফল ৪ কুরআনের হাফেজ, এবারও অসাধারণ শাহীন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কর্ণাটকের শাহীন একাডেমিতে কোচিং নিয়ে এবছর নিটে দুর্দান্ত ফলাফল করলেন  ৪জন কুরআনের হাফেজ। এবছর ১০জন হাফিজকে নিট-এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে থেকে ৪জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬০০-এর বেশি, অর্থাৎ তারা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ অবশ্যই  পাচ্ছেন। এই ৪জনের মধ্যে ৬৮০ নম্বর পেয়ে হাফিজ মহাম্মদ আলি ইকবাল শাহীন গ্রুপের মধ্যে নিট-এর ফলাফলে সবার উপরে। বাকি ৩জনের মধ্যে হাফিজ গুলমান আহমদ জারদি পেয়েছেন ৬৪৬, হাফিজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ৬৩২ এবং হাফিজ হুজাইফা ৬০২ নম্বর পেয়েছেন।

 

নিটের ফলাফল প্রকাশের পর শাহীন টপার হাফিজ মুহাম্মদ আলি ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছি, আমি খুশি যে নিটে ৬৮০ নম্বর পেয়েছি। শাহীন একাডেমির ইনটেনসিভ  কেয়ার ইউনিট কুরআনের হাফিজদের নিট-কোচিং-এর দায়িত্ব নিয়েছে, কোনও হিফজুল কুরআন মাদ্রাসার  পাঠরত ছাত্রদের টার্গেট করা হয় নিট কোচিং-এর জন্য। যেহেতু ওই মাদ্রাসায় তাদের, অঙ্ক, বিজ্ঞান,   ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ কম সে কারণে প্রথমে তাদের মাধ্যমিক সিলেবাসে রপ্ত করার চেষ্টা হয়।

 

মাধ্যমিকের পর একই সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণি ও নিট-এর কোচিং দেওয়া হয়। শাহীন একাডেমির চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কাদির বলেন, আমরা মনে করি যে ছাত্র সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ মুখস্থ রাখতে পারে তার পক্ষে বায়োলজি, ফিজিক্স ও কেমেস্ট্রির সমাধান মনে রাখা কষ্টকর হবেনা। এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই  কুরআনের হাফেজদের নিট প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং সফলতা মিলেছে প্রতি বছরই ৮/১০জন করে হাফিজ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে।

 

ডা. কাদির বলেন, এবছর ১২ জন হাফিজের মধ্যে ৪ জন ৬০০-র উপর নম্বর পেয়েছেন বাকিরাও  সুযোগ পেতে পারেন তবে সেটা জানা যাবে কাউন্সেলিং-এর পর। তিনি বলেন শাহীন একাডেমির বৈশিষ্ট হল কতজন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারির সুযোগ পাচ্ছে সেটার হিসাব রাখা। মেধা তালিকায় কতজন বা প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হতে পারলো কতজন আমরা সেই হিসাব রাখি না। যেমন এবছর ৪৫০ জনেরও বেশি শাহীনের পড়ুয়া সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

 

প্রতি বছরই এই ধরনের সফলতার রেকর্ড রয়েছে শাহীনের। তবে এ বছর উল্লেখযোগ্য ফল হল হাফিজ  ইকবালের, শাহীনের সেরা হয়ে গর্বিত করেছে সে দেশের সমস্ত মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের। মাদ্রাসার ছাত্ররাও যে ডাক্তার হতে পারে এটা প্রমাণ করেছে অমাদের হাফেজ নিট সফলরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাদ্রাসায় ডাক্তারও তৈরি হয় ,নিট-এ সফল ৪ কুরআনের হাফেজ, এবারও অসাধারণ শাহীন

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কর্ণাটকের শাহীন একাডেমিতে কোচিং নিয়ে এবছর নিটে দুর্দান্ত ফলাফল করলেন  ৪জন কুরআনের হাফেজ। এবছর ১০জন হাফিজকে নিট-এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে থেকে ৪জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬০০-এর বেশি, অর্থাৎ তারা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ অবশ্যই  পাচ্ছেন। এই ৪জনের মধ্যে ৬৮০ নম্বর পেয়ে হাফিজ মহাম্মদ আলি ইকবাল শাহীন গ্রুপের মধ্যে নিট-এর ফলাফলে সবার উপরে। বাকি ৩জনের মধ্যে হাফিজ গুলমান আহমদ জারদি পেয়েছেন ৬৪৬, হাফিজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ৬৩২ এবং হাফিজ হুজাইফা ৬০২ নম্বর পেয়েছেন।

 

নিটের ফলাফল প্রকাশের পর শাহীন টপার হাফিজ মুহাম্মদ আলি ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছি, আমি খুশি যে নিটে ৬৮০ নম্বর পেয়েছি। শাহীন একাডেমির ইনটেনসিভ  কেয়ার ইউনিট কুরআনের হাফিজদের নিট-কোচিং-এর দায়িত্ব নিয়েছে, কোনও হিফজুল কুরআন মাদ্রাসার  পাঠরত ছাত্রদের টার্গেট করা হয় নিট কোচিং-এর জন্য। যেহেতু ওই মাদ্রাসায় তাদের, অঙ্ক, বিজ্ঞান,   ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ কম সে কারণে প্রথমে তাদের মাধ্যমিক সিলেবাসে রপ্ত করার চেষ্টা হয়।

 

মাধ্যমিকের পর একই সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণি ও নিট-এর কোচিং দেওয়া হয়। শাহীন একাডেমির চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কাদির বলেন, আমরা মনে করি যে ছাত্র সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ মুখস্থ রাখতে পারে তার পক্ষে বায়োলজি, ফিজিক্স ও কেমেস্ট্রির সমাধান মনে রাখা কষ্টকর হবেনা। এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই  কুরআনের হাফেজদের নিট প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং সফলতা মিলেছে প্রতি বছরই ৮/১০জন করে হাফিজ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে।

 

ডা. কাদির বলেন, এবছর ১২ জন হাফিজের মধ্যে ৪ জন ৬০০-র উপর নম্বর পেয়েছেন বাকিরাও  সুযোগ পেতে পারেন তবে সেটা জানা যাবে কাউন্সেলিং-এর পর। তিনি বলেন শাহীন একাডেমির বৈশিষ্ট হল কতজন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারির সুযোগ পাচ্ছে সেটার হিসাব রাখা। মেধা তালিকায় কতজন বা প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হতে পারলো কতজন আমরা সেই হিসাব রাখি না। যেমন এবছর ৪৫০ জনেরও বেশি শাহীনের পড়ুয়া সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

 

প্রতি বছরই এই ধরনের সফলতার রেকর্ড রয়েছে শাহীনের। তবে এ বছর উল্লেখযোগ্য ফল হল হাফিজ  ইকবালের, শাহীনের সেরা হয়ে গর্বিত করেছে সে দেশের সমস্ত মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের। মাদ্রাসার ছাত্ররাও যে ডাক্তার হতে পারে এটা প্রমাণ করেছে অমাদের হাফেজ নিট সফলরা।