হুইল চেয়ারের গতি দেখল ডুয়ার্স – হার মানল প্রতিবন্ধকতা, জানতে গেলে পড়তে হবে!

- আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, রবিবার
- / 6
শুভজিৎ দেবনাথ,ডুয়ার্স: “একটি নিহত বাঘের চেয়ে একটি আহত বাঘ বেশি ভয়ংকর। ভাঙা পায়েই বাংলা ঘুরে বেড়াব। আমি কখনো মাথা নত করে চলিনি।”- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাঙ্গা পায়ে হুইলচেয়ার সঙ্গী হলেও, কি করে শুধুমাত্র মনের জোরে লড়াই করা যায় তা বুঝিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে দেখেছিল হুইলচেয়ারে করেই ময়দানে নেমে লড়াই করে তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা।
সে কথাই যেন আবারও মনে করিয়ে দিল ডুয়ার্সে আয়োজিত হুইলচেয়ারের ম্যারাথন। হুইল চেয়ারের গতি দেখল ডুয়ার্স। গরুমারা জঙ্গলের বুক চিরে সাত কিলোমিটারের ম্যারাথন হল, তাও আবার হুইলচেয়ারে। সম্ভবত উত্তরবঙ্গে প্রথমবার হল হুইলচেয়ার ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, এমনটাই দাবি করছেন এই সংস্থা।
রবিবার একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের উদ্যোগে চালসার গোলাই থেকে বাতাবাড়ি কিষাণ মান্ডি পর্যন্ত সাত কিলোমিটারের এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ১৭ জন প্রতিযোগী।এদিন সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেও প্রতিযোগীরা একে একে উপস্থিত হন।
তবে বৃষ্টির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়নি ম্যারাথন। এদিকে ম্যারাথন শুরু হতেই তাদের হুইলচেয়ার নিয়ে ছুটে চলেন প্রতিযোগীরা। তাদের ছুটে চলা দেখে আরও একবার এও যেন প্রমাণ হলো প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা নয়।
এদিনের এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিযোগীরা এসেছিলেন। এদিনের প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের অপূর্ব সামন্ত, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার বেলদার মিঠুন গিরি এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ময়না চেকপোস্টের ভবেস সোরেন।
এদিনের এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী করিমূল হক, সমাজসেবী শেখ জিয়াউর রহমান সহ অনেকে।