Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the login-customizer domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয় | Puber Kalom
১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়

পুবের কলম
  • আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 40

পুবের কলম, দ্বীন দুনিয়া ডেস্ক:  শবে বরাতে বিশেষ কিছু আমল আছে, যা করলে বান্দাহ্ আল্লাহর নৈকট্য  লাভে ধন্য হয়। এই রাতের করণীয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, রাতে বেশি বেশি নফল নামায পড়া ও দিনে রোযা রাখা। মহানবী সা. বলেন,  ‘যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত আসবে, তখন তোমরা দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে।’ (ইবনে মাজাহ ১৩৮৮)

শবে বরাতে বেশি বেশি নফল নামায আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইমাম গাজ্জালি রহ. এই রাতে ১০০ রাকায়াত নফল নামায আদায়ের উপদেশ দিয়েছেন।

বেশি বেশি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা। এই রাতে বেশি বেশি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কুরআনের একটি অক্ষর পাঠ করলে ১০টি নেকি পাওয়া যায়। এই রাতে পাঠ করার মতো অসাধারণ একটি দোয়া রয়েছে।

‘আল্লাহম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।’

শবে বরাতে বর্জনীয়

শবে বরাত পুণ্যময় রজনী। সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যা ক্ষতিকর, ভীতি সৃষ্টি করে, তা পরিহার করা আবশ্যক।

শবে বরাতের মত পুণ্যময় রাতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ইবাদাত বাদ দিয়ে হালুয়া-রুটি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া অনুচিত। এই রাতে যেমন ইবাদাতে সওয়াব রয়েছে ঠিক তেমনই গর্হিত কাজেরও শাস্তি রয়েছে। এ রাতে বাড়িঘর, মসজিদ ও ধর্মীয় স্থাপনা আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ্ বলেন ,  ‘তোমরা অপচয় করো না, নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৭)

সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে, গোটা রাত নফল ইবাদাতে কাটিয়ে ফজর নামাযের মতো ফরয ইবাদাত যেন ছুটে না যায় কোনোভাবে। মহিমান্বিত এই রাত প্রতিটি মুসলিমের ইবাদাতে কাটুক, সুখ সমৃদ্ধি কামনায় ভরে ওঠুক মন-প্রাণ। প্রতিটি মুসলিমের ইবাদাত মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে কবুল হোক। ইবাদাতময় হোক লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, দ্বীন দুনিয়া ডেস্ক:  শবে বরাতে বিশেষ কিছু আমল আছে, যা করলে বান্দাহ্ আল্লাহর নৈকট্য  লাভে ধন্য হয়। এই রাতের করণীয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, রাতে বেশি বেশি নফল নামায পড়া ও দিনে রোযা রাখা। মহানবী সা. বলেন,  ‘যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত আসবে, তখন তোমরা দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে।’ (ইবনে মাজাহ ১৩৮৮)

শবে বরাতে বেশি বেশি নফল নামায আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইমাম গাজ্জালি রহ. এই রাতে ১০০ রাকায়াত নফল নামায আদায়ের উপদেশ দিয়েছেন।

বেশি বেশি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা। এই রাতে বেশি বেশি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কুরআনের একটি অক্ষর পাঠ করলে ১০টি নেকি পাওয়া যায়। এই রাতে পাঠ করার মতো অসাধারণ একটি দোয়া রয়েছে।

‘আল্লাহম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।’

শবে বরাতে বর্জনীয়

শবে বরাত পুণ্যময় রজনী। সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যা ক্ষতিকর, ভীতি সৃষ্টি করে, তা পরিহার করা আবশ্যক।

শবে বরাতের মত পুণ্যময় রাতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ইবাদাত বাদ দিয়ে হালুয়া-রুটি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া অনুচিত। এই রাতে যেমন ইবাদাতে সওয়াব রয়েছে ঠিক তেমনই গর্হিত কাজেরও শাস্তি রয়েছে। এ রাতে বাড়িঘর, মসজিদ ও ধর্মীয় স্থাপনা আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ্ বলেন ,  ‘তোমরা অপচয় করো না, নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৭)

সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে, গোটা রাত নফল ইবাদাতে কাটিয়ে ফজর নামাযের মতো ফরয ইবাদাত যেন ছুটে না যায় কোনোভাবে। মহিমান্বিত এই রাত প্রতিটি মুসলিমের ইবাদাতে কাটুক, সুখ সমৃদ্ধি কামনায় ভরে ওঠুক মন-প্রাণ। প্রতিটি মুসলিমের ইবাদাত মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে কবুল হোক। ইবাদাতময় হোক লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান।