নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: ডিভিসি ছাড়া বোরো চাষের জলের তোড়ে ফের খানাকুলে নদীর বাঁধ ভাঙল। অকাল প্লাবনে কয়েকশো বিঘা জমির সবজি, ধান, আলু একেবারে জলের তলায়। রবিবার ভোরে ভাঙা বাঁধ দিয়ে হু হু করে জল ঢুকছে এলাকায়। মাঠ ভর্তি আলু রয়েছে। আচমকা প্লাবনের জেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভেবে কৃষকদের মাথায় হাত।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসের বন্যায় খানাকুলের চিংড়া পঞ্চায়েতের বলাইচকে মুণ্ডেশ্বরী নদীর শাখা খাল হরিনাখালির বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল, কিন্তু তারপর ওই বাঁধার ভালোভাবে মেরামতি করা হয়নি। শুধুমাত্র বোরো ধান চাষের জন্য অস্থায়ীভাবে কিছুটা বাঁধ মেরামতি করা হয়েছিল, কিন্তু ডিভিসি ছাড়া বোরো জল ওই এলাকায় পৌঁছাতেই জলের তোড়ে ওই বাঁধ আবারও ভেঙে গিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এলাকার বলাইচক, কুমারচক, রঞ্জিতবাটি, কেটোদল-সহ বহু গ্রামের চাষের জমির ফসল জলের তলায়। বাঁধ ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার ভোর থেকে এলাকার কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করে। এক কোমর জলে নেমে জমি থেকে কৃষকদের আলু তুলতে দেখা যায়। এবার বর্ষায় চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তাদের কোমর ভেঙে গিয়েছিল। আলু চাষ করে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর চেষ্টাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল।
খানাকুল-২ ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ, ব্লক কৃষি আধিকারিক শুভময় ঘোষ রবিবার এলাকা পরিদর্শন করেন। বিডিও এবং কৃষি আধিকারিক জানান, বাঁধ ভেঙে প্রায় ২৫০ জমির আলু জলে ডুবে গেছে। সুফল বাংলার প্রতিনিধিরা আসছেন। তারা সরকারি সহায়ক মূল্যে ওই আলু কিনে নেবেন। কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। বিডিও মধুমিতা ঘোষ আরও জানান, ‘বাঁধ মেরামতির টেন্ডার হয়ে গেছে। আন্ডার প্রসেসের মধ্যে রয়েছে। দ্রুত বাঁধ মেরামতি করা হবে।’