উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : কুলতলির পর এবার গোসাবা।জমিতে ইদুর মারতে রাখা বিদ্যুৎ এর তার লেগে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটল এক প্রেমিকের।আশংকায় জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রেমিকা।এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রেমিকার হাতে হাত রেখে ধান খেতে ঘুরছিলেন বছর বাইশের আদিবাসী এক যুবক।আন্দাজও করতে পারেননি সে কী বিপদ অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। আচমকা ইঁদুরের উৎপাত রুখে আলে ফেলে রাখা বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তাঁর প্রেমিকা।আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোসাবা বিধানসভার সুন্দরবন কোস্টাল থানার সোনাখালির বোড়িয়া এলাকায়। জমির মালিকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা যায়, মৃতের নাম রোহিত মাহাতো। আদিবাসী ওই যুবক সোনাখালির বোড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ফুটবল খেলতেন ওই যুবক।বুধবার ছোট মোল্লা খালির গ্রামে ম্যাচ ছিল তাঁর। সঙ্গীরা ফিরে এলেও ওই যুবক পরে ফিরবেন বলে জানান।শোনা যাচ্ছে, ওই গ্রামেরই এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। বিকেলে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করেন রোহিত। গ্রামেরই ধানখেতে ঘুরছিলেন তাঁরা। আচমকা কোন ও ভাবে পা পিছলে পড়ে যায় রোহিত। ওই জমির আলে ইঁদুরের উৎপাত রুখতে ফেলে রাখা ছিল বিদ্যুতের তার।আর তাতেই তড়িদাহত হন ওই যুবক। প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে তরুণীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। কিন্তু রাতে কেউ কিছু টের পাননি।এদিকে পরিবারের সদস্যরা দুজনকেই খোঁজাখুঁজি করে। বৃহস্পতিবার সকালে জমিতে দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গোসাবা গ্রামীন হাসপাতালে।সেখানেই চিকিৎসকরা রোহিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তাঁর প্রেমিকা। এদিকে জমির মালিকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।আর এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।নেমে এসেছে এলাকায় শোকের ছায়া।