শ্রীলঙ্কায় জারি জরুরি অবস্থা, কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমন

- আপডেট : ৭ মে ২০২২, শনিবার
- / 10
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রবল সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ফের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের রাজাপক্ষর মুখপাত্র জানান, শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে জরুরি আইন জারি করা হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি হল। এর আগে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে ১ এপ্রিল সেদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর ৫ এপ্রিল তা প্রত্যাহার করা হয়।
শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক নেতারা জরুরি অবস্থা জারির খবরে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকারবিরোধী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) পার্টির নেতা অনুরা কুমারা বলেছেন, প্রেসিডেন্টের এটা বোঝা উচিত যে, নিপীড়নমূলক আইন দিয়ে জনগণের আন্দোলন থামানো যায় না। দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। কলম্বোর বাত্তারামুল্লা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই শুরু হয় বিক্ষোভ ও ধর্মঘট। বন্ধ থাকে স্কুল-কলেজ-দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া ধর্মঘটের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ে।
চলতি সপ্তাহে দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, গোতাবায়ে রাজাপক্ষ সরকারের কাছে পাঁচ কোটি ডলারের মতো বৈদেশিক রিজার্ভ অবশিষ্ট রয়েছে। মূলত করোনা মহামারি ও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতিতে ধস নামে। দেশটির ট্রেড ইউনিয়ন নেতা রবি কুমুদেশ বলেন, রাষ্ট্রপতির ভুল নীতি ও পদক্ষেপের ফলেই এমন দুঃখজনক অবস্থা তৈরি হয়েছে।
তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। অর্থনৈতিক সংকটে এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রাজাপক্ষর পরিবার। হিমশিম খাচ্ছেন মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে। ঋণের জন্য শরণাপন্ন হচ্ছেন আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, চিন ও ভারতসহ অন্যান্য দাতাদের কাছে। এরই মধ্যে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে দেশটি। যা ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম ঘটনা। দেশের শেয়ারবাজারও শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে।