১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
  • / 8

কাল থেকে শুরু হচ্ছে রমযান মাস। সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত জলও খাওয়া চলবে না। আর ঠিকভাবে রমযান পালন করতে চাই সুস্থ শরীর। ওদিকে আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়েছে বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ হবে। কলকাতায়ও এখন গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগার। তাই সুস্থ থাকার জন্য কী করণীয় সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

বছরের অন্যান্য মাসের থেকে রমযান মাসে খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বদলে যায়। রোযা করলে সকাল দুপুর আর রাতের খাবার খাওয়া চলে না। তখন রাতের পাশাপাশি ভোরবেলা সেহরি আর সূর্যাস্তের পর ইফতার পালন করা হয়। এ সময় একটানা ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয় বলে খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখতে হবে যা শরীর সুস্থ রাখবে। কোন ধরনের খাবার খাওয়া দরকার এই সময়ে, উত্তরে নিউট্রিশনিস্ট অরিত্র খান জানান, প্রথমত রোযা রমযান বা রমাদান যাই বলি না কেন এই সময় যারা স্থূলকায় বা যাদের শরীরে মেদের পরিমাণ বেশি তাদের ওজন কমানোর এটাই বেশ ভাল সময়। রমযানে যখন উপোস থাকি তখন আমাদের শরীর লিভার ও পেশীতে সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট ব্যবহার করতে শুরু করে শক্তি লাভের জন্য। ফলে আমাদের বাড়তি ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট ঝরে যায়। কিছু গবেষণায় জানা গেছে, রক্তের কোলস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। কারণ রোযা করার সময় পুষ্টির দিকটা অনেক সময়েই অবহেলিত হয়। সূর্যোদয়ের আগে সেহরি কিংবা দিনের উপবাস ভাঙার যে ইফতার পালন করা হয় অনেক ক্ষেত্রেই তা পুষ্টিকর হয় না। বিশেষত ইফতারের সময় অনেকেই বেশি করে ভাজাভুজি চপ কাটলেট জাংক খাবার ইত্যাদি খান।

তিনি আরও বলেন, ভোরবেলা সেহরির সময় বেশি করে জল ও জলে দ্রবীভূত উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। গরমে শরীরটাকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য জল খাওয়া খুব জরুরি। এই ফাইবারের জন্য খাওয়া যায় ওটসের পরিজ দুধ সহ্য হলে দুধ দিয়ে নয়তো জল দিয়ে দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা ভাত ডাল সবজি পাউরুটি সহ্য হলে সবরকম সবজি দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে সবরকম সবজি দিয়ে ডালিয়ার খিচুড়ি দুধ কলা মুসম্বি বা স্টু ইত্যাদি। তবে যাই খান না কেন জল বেশি করে খেতে হবে। দই ঘোল  ছানার জল বা যে কোনোভাবে জলের চাহিদা মেটানো যায়।

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

 

আবার ইফতারে খাওয়া দরকার কম চর্বিযুক্ত ও জলীয় খাবার। তাই খাওয়া দরকার তরমুজ খরবুজা শসা ফলের রস খেজুর কিশমিশ সবরকমের বাদাম বেদানা ডুমুর ও সবরকমের ফল। এর এক দেড় ঘণ্টা বাদে মাংসের স্টু ডালের জল শসা টম্যাটো দিয়ে অঙ্কুরিত ছোলার স্যালাড খাওয়া যেতে পারে। কখনওই বেশি তৈলাক্ত খাবার খাওয়া চলবে না। ব্লাড সুগার থাকলে কিন্তু এ সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে ইনসুলিন নিতে হয় সারাজীবন। যিনি ইনসুলিন নেন তিনি দীর্ঘক্ষণ উপোশ থাকলে তার সিভিয়ার হাইপোগ্লাইসেমিয়ার চান্স থাকে। এমনকী ডায়াবেটিক কোমা বা ব্রেন ডেথ হতে পারে।

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

কাজেই কারও টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস থাকলে তার ইনসুলিনের ডোজ কারও ইনসুলিন পাম্প নিলে তার প্রক্রিয়া জানিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।  অন্যদিকে টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকলে মুখে খাওয়ার ওষুধ না কী ধরনের ওষুধ খাচ্ছেন তা জানিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। তাদের ইফতারের সময় যখন রোজা ভাঙছেন তখন কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা কম গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ সবজি ও ফল  খেতে হবে। তাদের কলা খেজুর এড়িয়ে আপেল তরমুজ সবজির স্যালাড খেতে পারেন। হার্ট ফেলিওর বা হার্টের অসুখ থাকলে তাদের জল খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাদের বেশি জল খাওয়া চলবে না। তাদের কিন্তু অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।  আবার কিডনির অসুখ থাকলে যে খাবারে কম পটাশিয়াম ও ফসফরাস আছে সেই খাবার  খেতে হবে। প্রোটিনও কম খেতে হবে।

রমযান মাসে প্রচণ্ড গরমে এমনিতেই কিছু খাওয়া হয় না তার ওপর ঘাম হয়ে শরীরের জল বেরিয়ে যায়। তাই এই সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ডিহাইড্রেশনের।  শুধু তাই নয় যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তাও বেড়ে যায় বলে জানালেন ডাঃ শ্যামল বেরা। যাদের সুগারের মাত্রা খুব বেশি তাঁদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার ফলে সুগার ফল করার চান্স থাকে। তাদের সুগারের ওষুধ ভোরবেলার পরিবর্তে বিকেলেও দেওয়া যেতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তি যাদের হার্টের অসুখ আছে কিংবা ব্লাড প্রেশার খুব বেশি নিয়মিত ওষুধ খান তাদের ক্ষেত্রে রমজান মাসে প্রতিদিন রোজা রাখা উচিত নয়। তাদের এই ধর্মীয় রীতি সপ্তাহের রোজ পালন করা চলবে না। সপ্তাহে এক দুদিন করতে পারেন। যারা না খেয়ে থাকতে পারেন না, তাদের উপোশ না করাই ভাল। কাজেই বয়স্ক হাই সুগার ও হার্টের রোগী তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে রোজা রাখা উচিত নয় বলে জানান ডাঃ বেরা।

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

সন্তানসম্ভবা মহিলাদেরও রোযা রাখার বিষয়ে সতর্কতা দরকার। কারণ প্রথম তিন মাসে অনেকের বমির সমস্যা হয়। এর সঙ্গে সারাদিন না খেয়ে থাকার জন্য শরীরে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে বলে জানান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইন্দ্রনীল সাহা। কাজেই প্রেগন্যান্ট মহিলাদের রোযা রাখা অবস্থায় যদি শরীর ঝিমিয়ে পড়া চোখে অন্ধকার দেখা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয় সঙ্গে সঙ্গে রোযা ভাঙতে হবে। আর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডাঃ সাহা আরও জানান, সেকেন্ড ট্রাইমস্টার অর্থাৎ ৪-৬ মাসে যখন বাচ্চা বড় হতে থাকে তখন অনেকক্ষণ না খাওয়ার জন্য রক্তচাপ কমে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। কাজেই তাঁদেরও সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া যাদের অ্যানিমিয়া ডায়াবেটিস বা রক্তচাপ বেশি সেইসব প্রেগন্যান্ট মহিলাদেরও রোজা না রাখাই ভালো। একান্তই যারা রোযা করতে চান তাঁরা সমস্যা এড়াতে বেশি করে জল ও তরল খাবার খাবেন আর নোনতা ও তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চললে সুস্থ থাকতে পারবেন বলে ডাঃ সাহার মত। কাজেই ধর্মীয় এই রীতি পালনের সময় সবাই চেষ্টা করুন সুস্থ থাকতে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২২, শনিবার

কাল থেকে শুরু হচ্ছে রমযান মাস। সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত জলও খাওয়া চলবে না। আর ঠিকভাবে রমযান পালন করতে চাই সুস্থ শরীর। ওদিকে আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়েছে বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ হবে। কলকাতায়ও এখন গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগার। তাই সুস্থ থাকার জন্য কী করণীয় সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

বছরের অন্যান্য মাসের থেকে রমযান মাসে খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বদলে যায়। রোযা করলে সকাল দুপুর আর রাতের খাবার খাওয়া চলে না। তখন রাতের পাশাপাশি ভোরবেলা সেহরি আর সূর্যাস্তের পর ইফতার পালন করা হয়। এ সময় একটানা ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয় বলে খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখতে হবে যা শরীর সুস্থ রাখবে। কোন ধরনের খাবার খাওয়া দরকার এই সময়ে, উত্তরে নিউট্রিশনিস্ট অরিত্র খান জানান, প্রথমত রোযা রমযান বা রমাদান যাই বলি না কেন এই সময় যারা স্থূলকায় বা যাদের শরীরে মেদের পরিমাণ বেশি তাদের ওজন কমানোর এটাই বেশ ভাল সময়। রমযানে যখন উপোস থাকি তখন আমাদের শরীর লিভার ও পেশীতে সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট ব্যবহার করতে শুরু করে শক্তি লাভের জন্য। ফলে আমাদের বাড়তি ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট ঝরে যায়। কিছু গবেষণায় জানা গেছে, রক্তের কোলস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। কারণ রোযা করার সময় পুষ্টির দিকটা অনেক সময়েই অবহেলিত হয়। সূর্যোদয়ের আগে সেহরি কিংবা দিনের উপবাস ভাঙার যে ইফতার পালন করা হয় অনেক ক্ষেত্রেই তা পুষ্টিকর হয় না। বিশেষত ইফতারের সময় অনেকেই বেশি করে ভাজাভুজি চপ কাটলেট জাংক খাবার ইত্যাদি খান।

তিনি আরও বলেন, ভোরবেলা সেহরির সময় বেশি করে জল ও জলে দ্রবীভূত উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। গরমে শরীরটাকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য জল খাওয়া খুব জরুরি। এই ফাইবারের জন্য খাওয়া যায় ওটসের পরিজ দুধ সহ্য হলে দুধ দিয়ে নয়তো জল দিয়ে দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা ভাত ডাল সবজি পাউরুটি সহ্য হলে সবরকম সবজি দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে সবরকম সবজি দিয়ে ডালিয়ার খিচুড়ি দুধ কলা মুসম্বি বা স্টু ইত্যাদি। তবে যাই খান না কেন জল বেশি করে খেতে হবে। দই ঘোল  ছানার জল বা যে কোনোভাবে জলের চাহিদা মেটানো যায়।

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

 

আবার ইফতারে খাওয়া দরকার কম চর্বিযুক্ত ও জলীয় খাবার। তাই খাওয়া দরকার তরমুজ খরবুজা শসা ফলের রস খেজুর কিশমিশ সবরকমের বাদাম বেদানা ডুমুর ও সবরকমের ফল। এর এক দেড় ঘণ্টা বাদে মাংসের স্টু ডালের জল শসা টম্যাটো দিয়ে অঙ্কুরিত ছোলার স্যালাড খাওয়া যেতে পারে। কখনওই বেশি তৈলাক্ত খাবার খাওয়া চলবে না। ব্লাড সুগার থাকলে কিন্তু এ সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে ইনসুলিন নিতে হয় সারাজীবন। যিনি ইনসুলিন নেন তিনি দীর্ঘক্ষণ উপোশ থাকলে তার সিভিয়ার হাইপোগ্লাইসেমিয়ার চান্স থাকে। এমনকী ডায়াবেটিক কোমা বা ব্রেন ডেথ হতে পারে।

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

কাজেই কারও টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস থাকলে তার ইনসুলিনের ডোজ কারও ইনসুলিন পাম্প নিলে তার প্রক্রিয়া জানিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।  অন্যদিকে টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকলে মুখে খাওয়ার ওষুধ না কী ধরনের ওষুধ খাচ্ছেন তা জানিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। তাদের ইফতারের সময় যখন রোজা ভাঙছেন তখন কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা কম গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ সবজি ও ফল  খেতে হবে। তাদের কলা খেজুর এড়িয়ে আপেল তরমুজ সবজির স্যালাড খেতে পারেন। হার্ট ফেলিওর বা হার্টের অসুখ থাকলে তাদের জল খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাদের বেশি জল খাওয়া চলবে না। তাদের কিন্তু অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।  আবার কিডনির অসুখ থাকলে যে খাবারে কম পটাশিয়াম ও ফসফরাস আছে সেই খাবার  খেতে হবে। প্রোটিনও কম খেতে হবে।

রমযান মাসে প্রচণ্ড গরমে এমনিতেই কিছু খাওয়া হয় না তার ওপর ঘাম হয়ে শরীরের জল বেরিয়ে যায়। তাই এই সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ডিহাইড্রেশনের।  শুধু তাই নয় যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তাও বেড়ে যায় বলে জানালেন ডাঃ শ্যামল বেরা। যাদের সুগারের মাত্রা খুব বেশি তাঁদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার ফলে সুগার ফল করার চান্স থাকে। তাদের সুগারের ওষুধ ভোরবেলার পরিবর্তে বিকেলেও দেওয়া যেতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তি যাদের হার্টের অসুখ আছে কিংবা ব্লাড প্রেশার খুব বেশি নিয়মিত ওষুধ খান তাদের ক্ষেত্রে রমজান মাসে প্রতিদিন রোজা রাখা উচিত নয়। তাদের এই ধর্মীয় রীতি সপ্তাহের রোজ পালন করা চলবে না। সপ্তাহে এক দুদিন করতে পারেন। যারা না খেয়ে থাকতে পারেন না, তাদের উপোশ না করাই ভাল। কাজেই বয়স্ক হাই সুগার ও হার্টের রোগী তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে রোজা রাখা উচিত নয় বলে জানান ডাঃ বেরা।

সেহরি-ইফতারের সময় তরল ও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিন

সন্তানসম্ভবা মহিলাদেরও রোযা রাখার বিষয়ে সতর্কতা দরকার। কারণ প্রথম তিন মাসে অনেকের বমির সমস্যা হয়। এর সঙ্গে সারাদিন না খেয়ে থাকার জন্য শরীরে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে বলে জানান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইন্দ্রনীল সাহা। কাজেই প্রেগন্যান্ট মহিলাদের রোযা রাখা অবস্থায় যদি শরীর ঝিমিয়ে পড়া চোখে অন্ধকার দেখা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয় সঙ্গে সঙ্গে রোযা ভাঙতে হবে। আর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডাঃ সাহা আরও জানান, সেকেন্ড ট্রাইমস্টার অর্থাৎ ৪-৬ মাসে যখন বাচ্চা বড় হতে থাকে তখন অনেকক্ষণ না খাওয়ার জন্য রক্তচাপ কমে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। কাজেই তাঁদেরও সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া যাদের অ্যানিমিয়া ডায়াবেটিস বা রক্তচাপ বেশি সেইসব প্রেগন্যান্ট মহিলাদেরও রোজা না রাখাই ভালো। একান্তই যারা রোযা করতে চান তাঁরা সমস্যা এড়াতে বেশি করে জল ও তরল খাবার খাবেন আর নোনতা ও তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চললে সুস্থ থাকতে পারবেন বলে ডাঃ সাহার মত। কাজেই ধর্মীয় এই রীতি পালনের সময় সবাই চেষ্টা করুন সুস্থ থাকতে।