১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি সংকট­ শ্রীলঙ্কায় স্কুল-অফিস বন্ধ ঘোষণা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, শনিবার
  • / 7

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তীব্র জ্বালানি সংকটের মধ্যে দুই সপ্তাহের জন্য সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কার সরকার। বর্তমানে জ্বালানি আমদানির অর্থ নেই শ্রীলঙ্কার কাছে। তাই গণপরিবহণ চলাচল প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল ও অফিস বন্ধ ঘোষণায় বাধ্য হল সরকার। পেট্রোল ও ডিজেলের তীব্র সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার সরকার সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে যানচলাচলের নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘জ্বালানি ফুরিয়ে আসায় অফিসে কর্মীসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ জ্বালানি সংরক্ষণে সপ্তাহের শুরুতে দেশটিতে সাপ্তাহিক ছুটি একদিন বাড়িয়ে তিনদিন করা হয়। দেশটির শিক্ষামন্ত্রক এক ঘোষণায় জানিয়েছে, সোমবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কথা বলেছে মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সংকটে দেশটির সরকার খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না। একই সঙ্গে চলছে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি। দীর্ঘ সময় নাগরিকরা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকছেন। এই আর্থিক মন্দার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে দেশজুড়ে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করছেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জ্বালানি সংকট­ শ্রীলঙ্কায় স্কুল-অফিস বন্ধ ঘোষণা

আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তীব্র জ্বালানি সংকটের মধ্যে দুই সপ্তাহের জন্য সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কার সরকার। বর্তমানে জ্বালানি আমদানির অর্থ নেই শ্রীলঙ্কার কাছে। তাই গণপরিবহণ চলাচল প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল ও অফিস বন্ধ ঘোষণায় বাধ্য হল সরকার। পেট্রোল ও ডিজেলের তীব্র সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার সরকার সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে যানচলাচলের নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘জ্বালানি ফুরিয়ে আসায় অফিসে কর্মীসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ জ্বালানি সংরক্ষণে সপ্তাহের শুরুতে দেশটিতে সাপ্তাহিক ছুটি একদিন বাড়িয়ে তিনদিন করা হয়। দেশটির শিক্ষামন্ত্রক এক ঘোষণায় জানিয়েছে, সোমবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কথা বলেছে মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সংকটে দেশটির সরকার খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না। একই সঙ্গে চলছে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি। দীর্ঘ সময় নাগরিকরা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকছেন। এই আর্থিক মন্দার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে দেশজুড়ে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করছেন।