এম এ হাকিম, বনগাঁ: সময়ের ব্যবধান মাত্র দু’মাস। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি; এই দু’মাসেই ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কিত হয়েছিলেন অনেকে। সে দেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং চিন্ময় প্রভু ইস্যুতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদী নেতাদের একাংশ। গত ২ ডিসেম্বর পেট্রাপোল সীমান্তে এক জমায়েতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এক সভা থেকে ২০২৫ সালে লাগাতর বাণিজ্য বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
বলাবাহুল্য, উনি যেদিন বাণিজ্য বন্ধের কথা বলেছিলেন, সেদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত রফতানির উদ্দেশ্যে ১৬৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে গিয়েছিল। অন্যদিকে, একইসময়ে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে আমদানির পণ্যবাহী ট্রাক এসেছিল ১০০টি। এসবের আগেই অবশ্য গত ২৭ অক্টোবর দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের গতি বাড়াতে পেট্রাপোল সীমান্তে ‘মৈত্রী দুয়ার’ উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর কিছুদিনের মধ্যে ওপার বাংলার বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকাতেও উন্নত ব্যবস্থাপনা চালু হয়। তার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে খুব সহজে বাণিজ্যের পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করছে।
প্রসঙ্গত, পেট্রাপোল সীমান্তে চেকপোস্টের মধ্যে রফতানি ও আমদানি পণ্যের ট্রাক চলাচলের জন্য পাশাপাশি চারটি চওড়া রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে ‘মৈত্রী দুয়ার’। দু’টি রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশে রফতানি ও দু’টি রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানির পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করছে।
শনিবার পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, ‘মৈত্রী দুয়ার চালু হওয়া এবং বাংলাদেশ বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিকাঠামো ভাল করার ফলে খুব সহজেই দু’দেশের মধ্যে রফতানি ও আমদানির পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করছে। আগে দৈনিক কমপক্ষে ৩৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হত। এখন ৪৫০-এর বেশি পণ্যবাহী ট্রাক রফতানি করছে।’