১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডার মসজিদে উগ্রবাদী হামলা, আক্রান্ত হলেন ইমাম

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 14

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  সুইডেনের পর এবার কানাডার টরোন্টোর এক মসজিদে বিদ্বেষী হামলা হয়েছে। এক ব্যক্তি টরোন্টো মসজিদে ঢুকে পড়ে এবং ইমামের ওপর হামলা চালায়। তবে মুসল্লিরা হামলাকারীকে প্রতিহত করে। এই ঘটনার পর কানাডার মুসলিমরা আতঙ্কে রয়েছে। কানাডায় ইসলামোফোবিয়া উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গিয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

 

সূত্রের খবর, টরোন্টো মসজিদে ফজরের নামাযের সময় ওই হামলা চালানো হয়। হামলাকারী ইমামের ওপর হামলে পড়ে এবং তার দেহে আঘাত করে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরোন্টো মঙ্গলবার জানিয়েছে, একজন অনুপ্রবেশকারী এই হামলা চালায় এবং দুই সাহসী মুসল্লি তাকে দ্রুত আটকে ফেলে। পরে মুসল্লিরা ৯১১ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং হামলকারীকে আটক করে।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরোন্টোর বিবৃতিতে, ‘আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এই ঘটনা আমাদের সম্প্রদায়ের অনেকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। তবে কেন এই হামলা হয়েছে তা জানা যায়নি।’ টরোন্টো ইসলামিক সেন্টার জানিয়েছে, ‘আমরা বুঝতে পারছি আমাদের জন্য এটা আতঙ্কের বিষয়। এই পরিস্থিতি খুবই কঠিন।

 

ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, কেন ঘটিয়েছে তার কিছুই জানা নেই। এজন্য আরও বেশি আতঙ্কিত আমরা। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তার কোনও দোষ খুঁজে পায়নি।’ পুলিশ ট্যুইটারে জানিয়েছে, ‘এটি একটি ঘৃণাপ্রসূত আচরণ হতে পারে। প্রমাণিত হলে মামলা হবে।’ হামলার শিকার ইমাম ইউসুফ বাতান এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ও তার মুসল্লিরা ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘এমন কোনও সকাল যেন আর দেখতে না হয়। হামলাটি ভয়াবহ ছিল।’ কানাডিয়ান মুসলিম ন্যাশনাল কাউন্সিল এবং কানাডার কাউন্সিল অব ইমামস (সিসিআই) এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিসিআই মসজিদগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার আহ্বান জানিয়েছে। কানাডার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক দশক ধরে কানাডায় ইসলাম বিদ্বেষ বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও মিডিয়ার প্রচারে ইসলাম বিদ্বেষ বাড়ছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কানাডার মসজিদে উগ্রবাদী হামলা, আক্রান্ত হলেন ইমাম

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  সুইডেনের পর এবার কানাডার টরোন্টোর এক মসজিদে বিদ্বেষী হামলা হয়েছে। এক ব্যক্তি টরোন্টো মসজিদে ঢুকে পড়ে এবং ইমামের ওপর হামলা চালায়। তবে মুসল্লিরা হামলাকারীকে প্রতিহত করে। এই ঘটনার পর কানাডার মুসলিমরা আতঙ্কে রয়েছে। কানাডায় ইসলামোফোবিয়া উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গিয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

 

সূত্রের খবর, টরোন্টো মসজিদে ফজরের নামাযের সময় ওই হামলা চালানো হয়। হামলাকারী ইমামের ওপর হামলে পড়ে এবং তার দেহে আঘাত করে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরোন্টো মঙ্গলবার জানিয়েছে, একজন অনুপ্রবেশকারী এই হামলা চালায় এবং দুই সাহসী মুসল্লি তাকে দ্রুত আটকে ফেলে। পরে মুসল্লিরা ৯১১ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং হামলকারীকে আটক করে।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরোন্টোর বিবৃতিতে, ‘আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এই ঘটনা আমাদের সম্প্রদায়ের অনেকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। তবে কেন এই হামলা হয়েছে তা জানা যায়নি।’ টরোন্টো ইসলামিক সেন্টার জানিয়েছে, ‘আমরা বুঝতে পারছি আমাদের জন্য এটা আতঙ্কের বিষয়। এই পরিস্থিতি খুবই কঠিন।

 

ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, কেন ঘটিয়েছে তার কিছুই জানা নেই। এজন্য আরও বেশি আতঙ্কিত আমরা। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তার কোনও দোষ খুঁজে পায়নি।’ পুলিশ ট্যুইটারে জানিয়েছে, ‘এটি একটি ঘৃণাপ্রসূত আচরণ হতে পারে। প্রমাণিত হলে মামলা হবে।’ হামলার শিকার ইমাম ইউসুফ বাতান এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ও তার মুসল্লিরা ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘এমন কোনও সকাল যেন আর দেখতে না হয়। হামলাটি ভয়াবহ ছিল।’ কানাডিয়ান মুসলিম ন্যাশনাল কাউন্সিল এবং কানাডার কাউন্সিল অব ইমামস (সিসিআই) এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিসিআই মসজিদগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার আহ্বান জানিয়েছে। কানাডার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক দশক ধরে কানাডায় ইসলাম বিদ্বেষ বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও মিডিয়ার প্রচারে ইসলাম বিদ্বেষ বাড়ছে।