১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী সাহাবি হযরত শিফা রা.

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 10

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হযরত শিফা বিনতে আবদুল্লাহ রা. ছিলেন নিরাময়শাস্ত্রে অভিজ্ঞ এক নারী। জাহেলি যুগে তিনি পিঁপড়ের কামড় আর সাপে কাটার ওষুধ দিতেন। অজ্ঞানতার সেই যুগে নারী হয়েও তিনি ছিলেন শিক্ষিত ও শিক্ষানুরাগী। নিজের শিক্ষা তিনি আরব নারীদের ওপর কাজে লাগিয়েছিলেন। তাদের লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন। রাসূল সা.-এর নির্দেশে তাঁর স্ত্রী হাফসা রা.-কে অক্ষরজ্ঞান দিয়েছিলেন।

হযরত শিফা রা.-এর কাছ থেকে আমরা ১২টি হাদিস পেয়েছি। তাঁর বর্ণনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস এ রকম: ‘রাসূল সা.-কে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেন, আল্লাহর ওপর ঈমান, আল্লাহর পথে সংগ্রাম এবং হজ-ই-মাবরুর বা আল্লাহর কাছে গৃহীত হজ।

শিফা রা.-র জন্ম মক্কার কুরাইশ বংশে। মক্কায় যে ক’জন নারী সাহাবি রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে বাইয়াত করেন, তিনি তাঁদের একজন।

রাসূল সা.-এর প্রতি তাঁর ছিল গভীর ভালবাসা। রাসূল সা. তাঁর এ সম্মানকে গুরুত্ব দিতেন। তিনি মাঝেমধ্যে শিফার ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিতেন। শিফা রা. তাঁর ঘরে রাসূল সা.-এর জন্য একটি বিছানা ও একটি পোশাক বিশেষভাবে রেখে দিতেন। রাসূল সা. তাঁর বাড়ি গেলে তা ব্যবহার করতেন। শিফা রা.-র ইন্তেকালের পর তার সন্তানেরা সেসব যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করেন।

খলিফা উমার রা. শিফা রা.-কে বিশেষ মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখতেন। তাঁর মতামতের গুরুত্ব দিতেন। তাঁর যোগ্যতার কারণে উমার রা. তাঁকে বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। শিফা রা.-র কাজ ছিল, ব্যবসা-বাণিজ্য ইসলামি শরিয়াহ মেনে হচ্ছে কিনা, তার তদারক করা। তিনি বাজার ঘুরে কোনও ক্রেতা বা বিক্রেতা মূল্যবোধ পরিপন্থী কোনও কাজ করছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করতেন। তা নিয়ে খলিফাকে প্রতিবেদন জমা দিতেন। শিফা রা.-এর ইন্তেকালের সঠিক সময় জানা যায় না। তবে অনেক ঐতিহাসিক বলেন, উমার রা.-এর খিলাফতের সময়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নারী সাহাবি হযরত শিফা রা.

আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হযরত শিফা বিনতে আবদুল্লাহ রা. ছিলেন নিরাময়শাস্ত্রে অভিজ্ঞ এক নারী। জাহেলি যুগে তিনি পিঁপড়ের কামড় আর সাপে কাটার ওষুধ দিতেন। অজ্ঞানতার সেই যুগে নারী হয়েও তিনি ছিলেন শিক্ষিত ও শিক্ষানুরাগী। নিজের শিক্ষা তিনি আরব নারীদের ওপর কাজে লাগিয়েছিলেন। তাদের লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন। রাসূল সা.-এর নির্দেশে তাঁর স্ত্রী হাফসা রা.-কে অক্ষরজ্ঞান দিয়েছিলেন।

হযরত শিফা রা.-এর কাছ থেকে আমরা ১২টি হাদিস পেয়েছি। তাঁর বর্ণনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস এ রকম: ‘রাসূল সা.-কে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেন, আল্লাহর ওপর ঈমান, আল্লাহর পথে সংগ্রাম এবং হজ-ই-মাবরুর বা আল্লাহর কাছে গৃহীত হজ।

শিফা রা.-র জন্ম মক্কার কুরাইশ বংশে। মক্কায় যে ক’জন নারী সাহাবি রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে বাইয়াত করেন, তিনি তাঁদের একজন।

রাসূল সা.-এর প্রতি তাঁর ছিল গভীর ভালবাসা। রাসূল সা. তাঁর এ সম্মানকে গুরুত্ব দিতেন। তিনি মাঝেমধ্যে শিফার ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিতেন। শিফা রা. তাঁর ঘরে রাসূল সা.-এর জন্য একটি বিছানা ও একটি পোশাক বিশেষভাবে রেখে দিতেন। রাসূল সা. তাঁর বাড়ি গেলে তা ব্যবহার করতেন। শিফা রা.-র ইন্তেকালের পর তার সন্তানেরা সেসব যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করেন।

খলিফা উমার রা. শিফা রা.-কে বিশেষ মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখতেন। তাঁর মতামতের গুরুত্ব দিতেন। তাঁর যোগ্যতার কারণে উমার রা. তাঁকে বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। শিফা রা.-র কাজ ছিল, ব্যবসা-বাণিজ্য ইসলামি শরিয়াহ মেনে হচ্ছে কিনা, তার তদারক করা। তিনি বাজার ঘুরে কোনও ক্রেতা বা বিক্রেতা মূল্যবোধ পরিপন্থী কোনও কাজ করছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করতেন। তা নিয়ে খলিফাকে প্রতিবেদন জমা দিতেন। শিফা রা.-এর ইন্তেকালের সঠিক সময় জানা যায় না। তবে অনেক ঐতিহাসিক বলেন, উমার রা.-এর খিলাফতের সময়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।