২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্থিক মন্দা! এবার ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে ফেসবুক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 16

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা আবহ কাটিয়ে ধীরে ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও অর্থনীতির অবস্থা মন্দা। আর সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে চাকরির বাজারে। বহু কোম্পানি কর্মী ছাঁটায়ের পলিসি গ্রহণ করেছে। তাদের বক্তব্য হল অদক্ষ কর্মী সরিয়ে দিয়ে সংস্থাগুলিতে দক্ষ কর্মীদের রাখা। এবার মেটা প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকে হাঁটতে চলেছে। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এমনই একটি সমীক্ষা উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছে ফেসবুক। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সংকটের মুখে আছে ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ১৮ বছরে এত বড় সংকটের মুখে পড়ে ফেসবুক। এই সংকট কাটাতেই ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগিয়েছে ফেসবুক।
সম্প্রতি কর্মীদের সঙ্গে এক অফিশিয়াল প্রশ্নোত্তর পর্বে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ কারণে পুরো কোম্পানি থেকে মোট কর্মীর ১৫ শতাংশ (১২ হাজার) ছাঁটাই করার জন্য নির্বাচন করা উচিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে গত সপ্তাহে মেটার একজন কর্মী ব্লাইন্ড অ্যাপে পোস্ট করে জানিয়েছেন। প্রযুক্তিকর্মীদের কাছে ব্লাইন্ড অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। এই প্ল্যাটফর্মে বেনামে পোস্ট করা যায়। তবে এর জন্য কোনো কোম্পানির সঠিক একটি ই–মেইল ঠিকানার দরকার হয়।

মেটার ওই কর্মী পোস্টে লিখেছেন, এই ১৫ শতাংশ কর্মী সম্ভবত কর্মদক্ষতার ওপর নির্বাচন করা হবে। এরপর তাঁদের ছাঁটাই করা হবে। ওই পোস্টে মেটার বহু কর্মী তাদের কমেন্ট করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেটার একজন কর্মী জানিয়েছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সংস্থার যেসব কর্মীরা ভালো কাজ করেন বা লক্ষ্যমাত্রার একটু কম কাজ করেন তাঁদের সাধারণত ছাঁটাই করা হয় না। কিন্তু অনেকেই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে কাজ করেন। সেক্ষেত্রে তাদের অন্য কোনও পদে সরিয়ে দেওয়া হয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এটাই মূলত গোপনে ছাঁটাইপ্রক্রিয়ার একটি অংশ।

এদিকে গত সপ্তাহে মেটা ঘোষণা দিয়েছে, বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা প্রকট হওয়ায় এই মুহূর্তে মেটায় কর্মী নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। কর্মীদের সঙ্গে সাপ্তাহিক অফিশিয়াল প্রশ্নোত্তর পর্বে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে সবকিছু এখনই সেই আশা করা যাচ্ছে না। এই কারণে আমরা সেই ভাবে পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছি। মেটা সব কটি টিমের বাজেট কমিয়ে দেবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আর্থিক মন্দা! এবার ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে ফেসবুক

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা আবহ কাটিয়ে ধীরে ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও অর্থনীতির অবস্থা মন্দা। আর সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে চাকরির বাজারে। বহু কোম্পানি কর্মী ছাঁটায়ের পলিসি গ্রহণ করেছে। তাদের বক্তব্য হল অদক্ষ কর্মী সরিয়ে দিয়ে সংস্থাগুলিতে দক্ষ কর্মীদের রাখা। এবার মেটা প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকে হাঁটতে চলেছে। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এমনই একটি সমীক্ষা উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছে ফেসবুক। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সংকটের মুখে আছে ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ১৮ বছরে এত বড় সংকটের মুখে পড়ে ফেসবুক। এই সংকট কাটাতেই ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগিয়েছে ফেসবুক।
সম্প্রতি কর্মীদের সঙ্গে এক অফিশিয়াল প্রশ্নোত্তর পর্বে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ কারণে পুরো কোম্পানি থেকে মোট কর্মীর ১৫ শতাংশ (১২ হাজার) ছাঁটাই করার জন্য নির্বাচন করা উচিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে গত সপ্তাহে মেটার একজন কর্মী ব্লাইন্ড অ্যাপে পোস্ট করে জানিয়েছেন। প্রযুক্তিকর্মীদের কাছে ব্লাইন্ড অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। এই প্ল্যাটফর্মে বেনামে পোস্ট করা যায়। তবে এর জন্য কোনো কোম্পানির সঠিক একটি ই–মেইল ঠিকানার দরকার হয়।

মেটার ওই কর্মী পোস্টে লিখেছেন, এই ১৫ শতাংশ কর্মী সম্ভবত কর্মদক্ষতার ওপর নির্বাচন করা হবে। এরপর তাঁদের ছাঁটাই করা হবে। ওই পোস্টে মেটার বহু কর্মী তাদের কমেন্ট করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেটার একজন কর্মী জানিয়েছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সংস্থার যেসব কর্মীরা ভালো কাজ করেন বা লক্ষ্যমাত্রার একটু কম কাজ করেন তাঁদের সাধারণত ছাঁটাই করা হয় না। কিন্তু অনেকেই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে কাজ করেন। সেক্ষেত্রে তাদের অন্য কোনও পদে সরিয়ে দেওয়া হয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এটাই মূলত গোপনে ছাঁটাইপ্রক্রিয়ার একটি অংশ।

এদিকে গত সপ্তাহে মেটা ঘোষণা দিয়েছে, বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা প্রকট হওয়ায় এই মুহূর্তে মেটায় কর্মী নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। কর্মীদের সঙ্গে সাপ্তাহিক অফিশিয়াল প্রশ্নোত্তর পর্বে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে সবকিছু এখনই সেই আশা করা যাচ্ছে না। এই কারণে আমরা সেই ভাবে পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছি। মেটা সব কটি টিমের বাজেট কমিয়ে দেবে।