০৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারুইপুরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আতশবাজির সেলিং হাব

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 8

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বারুইপুরে উদ্বোধনের অপেক্ষায়  আতসবাজি সেলিং হাব।বারুইপুরের উত্তরভাগ কাটাখাল বাইপাসের ধারে আতসবাজি বিক্রির জন্য সেলিং হাব হচ্ছে। প্রথম ধাপে ৫০টি দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধু রঙের কাজ বাকি।আরতা শেষ হলেই উদ্বোধন হবে বলে জানা গিয়েছে। ৪৮০টি সবুজ বাজি বিক্রির দোকান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প দফতর। এবার বাকি দোকান তৈরির কাজ কবে হবে সে প্রশ্ন তুলছেন বাজি ব্যবসায়ীরা।বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার বলেন, ৫০টি দোকান চলতি বছরের পুজোর আগেই উদ্বোধন হতে পারে। বাকি দোকান নির্মাণে কিছু জটিলতা থাকায় আটকে আছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বাজি তৈরির জন্য আলাদা জমি দিতে প্রস্তুত হাড়ালের বাজিব্যবসায়ীরা। হারালের এক ব্যবসায়ী বলেন,২০ বিঘা জমি আমাদের তৈরি আছে। কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা সবুজ সিগন্যাল দিলে তবে তা দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এই কাজের জন্য বারবার প্রশাসনের কর্তারা জায়গা পরিদর্শন করে গেছেন। তারপরও কাজ এগোয় নি। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর পঞ্চায়েতের কাটাখাল উত্তরভাগ বাইপাসে খালের দু’ধারে দু’কোটি ৪৮ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এই বাজি সেলিং হাব নির্মিত হচ্ছে। গতবছর উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থেকে এর শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট ৬২ বিঘা জমিজুড়ে এই হাব তৈরি হচ্ছে। বারুইপুর ব্লকের চম্পাহাটি, বেগমপুর, সাউথ গড়িয়া পঞ্চায়েতের এক লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। হাব ছাড়াও উত্তরপুরীতে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল। এর জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও ক্ষুদ্র শিল্পদফতর থেকে জায়গা দেখা হলেও কাজ এগোয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, হাব নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিধায়ক বিভাস সরদার। বাজি তৈরির জন্য জমি দিতে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত।আর তা তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হলে উপকৃত হবে এলাকার মানুষ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বারুইপুরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আতশবাজির সেলিং হাব

আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বারুইপুরে উদ্বোধনের অপেক্ষায়  আতসবাজি সেলিং হাব।বারুইপুরের উত্তরভাগ কাটাখাল বাইপাসের ধারে আতসবাজি বিক্রির জন্য সেলিং হাব হচ্ছে। প্রথম ধাপে ৫০টি দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধু রঙের কাজ বাকি।আরতা শেষ হলেই উদ্বোধন হবে বলে জানা গিয়েছে। ৪৮০টি সবুজ বাজি বিক্রির দোকান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প দফতর। এবার বাকি দোকান তৈরির কাজ কবে হবে সে প্রশ্ন তুলছেন বাজি ব্যবসায়ীরা।বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার বলেন, ৫০টি দোকান চলতি বছরের পুজোর আগেই উদ্বোধন হতে পারে। বাকি দোকান নির্মাণে কিছু জটিলতা থাকায় আটকে আছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বাজি তৈরির জন্য আলাদা জমি দিতে প্রস্তুত হাড়ালের বাজিব্যবসায়ীরা। হারালের এক ব্যবসায়ী বলেন,২০ বিঘা জমি আমাদের তৈরি আছে। কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা সবুজ সিগন্যাল দিলে তবে তা দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এই কাজের জন্য বারবার প্রশাসনের কর্তারা জায়গা পরিদর্শন করে গেছেন। তারপরও কাজ এগোয় নি। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর পঞ্চায়েতের কাটাখাল উত্তরভাগ বাইপাসে খালের দু’ধারে দু’কোটি ৪৮ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এই বাজি সেলিং হাব নির্মিত হচ্ছে। গতবছর উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থেকে এর শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট ৬২ বিঘা জমিজুড়ে এই হাব তৈরি হচ্ছে। বারুইপুর ব্লকের চম্পাহাটি, বেগমপুর, সাউথ গড়িয়া পঞ্চায়েতের এক লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। হাব ছাড়াও উত্তরপুরীতে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল। এর জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও ক্ষুদ্র শিল্পদফতর থেকে জায়গা দেখা হলেও কাজ এগোয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, হাব নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিধায়ক বিভাস সরদার। বাজি তৈরির জন্য জমি দিতে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত।আর তা তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হলে উপকৃত হবে এলাকার মানুষ।