রাজ্যে মমতা না থাকলে নয়া Waqf Law চালু হয়ে যাবে: Firhad Hakim

- আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
- / 15
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় না-থাকলে ওয়াকফ আইন কার্যকর হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়ম সবকিছুতেই বাড়বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ। রাজ্যজুড়ে আন্দোলন ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমনই মন্তব্য করলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শনিবার বিধানসভায় মরহুম আবদুর রেজ্জাক মোল্লাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই ওয়াকফ নিয়ে মন্তব্য করেন ফিরহাদ ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আমাদের রাজ্যে ওয়াকফ আইন লাগু হবে না: Mamata Banerjee
এ দিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, ‘তৃণমূল না-থাকলে ওয়াকফ কার্যকর হয়ে যাবে। আর আপনারা অশান্তি করলে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করবে। আমরা কেউ তা চাই না। আর মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, ওয়াকফ আইন কার্যকর হবে না। তাই এখানে প্রতিবাদ করার কী যুক্তি আছে?’ রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি। এখানে কেউ দড়াম করে গুলি চালিয়ে দেয় না, বুলডোজার রাজ হয় না। বিজেপির উসকানিতেই এখানে লাফালাফি হচ্ছে। মিরজাফর তখনও ছিল, এখনও আছে। যাঁরা বিজেপির উসকানিতে অশান্তি করছেন, তাঁরা আসলে বিজেপির হাত শক্ত করছেন।’ এখানেই শেষ নয়, আন্দোলনকারীদের যোগী রাজ্যে গিয়ে প্রতিবাদ করার নিদান দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘যোগীর রাজ্যে গিয়ে প্রতিবাদ করুন। এখানে প্রতিবাদ করে কী হবে? পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। এখানে সবাই আমরা শান্তিতে থাকি। এখানে কারও ক্ষতি করে লাভ নেই। এখানে রাস্তায় নেমে কারও ক্ষতি করা মানে বিজেপির ভোট বাড়ানো। রাস্তায় নেমে গুন্ডামি করবেন না।’
আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তাপের মাঝে শান্তির বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ফিরহাদ (Firhad Hakim) আরও বলেন, ‘যার যা ক্ষতি হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেখে দেবে। সব কিছুর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে হবে। এখানে এ ভাবে টুকরো টুকরো হয়ে প্রতিবাদ করে কিছু হবে না। দোকান ভেঙে, ইট মেরে, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ হতে পারে না। এতে বিজেপির হাত শক্ত করা হবে।’ অন্যদিকে একই ইস্যুতে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওয়াকফ আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেইছেন যে, এ রাজ্যে তা তিনি কার্যকর করতে দেবেন না। তার পরেও কেন এত উগ্রতার সঙ্গে এই সব করা হচ্ছে? যাতে বিজেপি রাজনীতি করার সুযোগ না পায়, তার জন্য শান্তিরক্ষার আবেদন আবেদন করছি আমরা।’