উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : খেলা শরীরচর্চার একটা বড় ব্যায়ামের কাজ করে।সেরার সেরা বাঙালির ফুটবল।এই ফুটবলকে ঘিরে আপামর বাঙালি চরম উদ্দিপনায় থাকে।ফুটবল ঘিরে ঘটি বাঙালির মধ্যে তীব্র যুদ্ধ চলে। আর সেই ফুটবল যখন ঘরের পাশে আয়োজন করা হয় তখন আর কি।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় সারা রাজ্যে সাংসদ এলাকায় এম পি কাপের খেলা হচ্ছে। ডায়মন্ডহারবারে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এম পি কাপের সূচনা হয়।এর পর একে একে জয়নগর, যাদবপুরের পর এবার সূচনা হলো মথুরাপুরে। মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদারের উদ্যোগে শনিবার বিকালে মথুরাপুর থানার কৃষ্ণচন্দ্রপুর বিবেক ময়দানে এম পি কাপের সূচনা হয়।এদিন পায়রা উড়িয়ে, আতশ বাজি ফাটিয়ে এই ফুটবল খেলার সূচনা হয়।এদিন এই খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদমের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায়, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, মেদিনীপুরের সাংসদ তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া, যাদবপুরের সাংসদ তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বংকিম চন্দ্র হাজরা, পরিবহন প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মন্ডল, এই খেলার উদ্যোক্তা তথা মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার,জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি বিশাল, সহ সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, রায়দিঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা, কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মন্ডল, মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস,পাথর প্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার,কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হাসনাবানু সেখ সহ আরো অনেকে।এই খেলায় ১৬ টি দল অংশ গ্রহণ করেছে।এর মধ্যে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা থেকে সাতটি ও জেলার অন্য এলাকা থেকে ৯ টি দল অংশ নিয়েছে। শনিবার শুরু হওয়া এই খেলার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার। এই খেলার উদ্যোক্তা তথা সাংসদ বাপি হালদার বলেন, প্রতিদিন দর্শকদের জন্য থাকছে পুরস্কারের ব্যবস্থা, লটারি মধ্য দিয়ে দর্শকদের পুরস্কৃত করা হবে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি।তাছাড়া প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। মঙ্গলবার ফাইনালের দিন উপস্থিত থাকবেন টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী ও শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী।আর এই খেলা দেখতে এদিন দর্শক আসন ছিলো পরিপূর্ণ। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে বাঙালির প্রিয় খেলা এই ফুটবল দেখতে ফুটবল শহর হয়ে গেছে কৃষ্ণচন্দ্রপুর।