পুবের কলম প্রতিবেদক: পবিত্র রমযান মাসে মুসলিম ফুটবলারদের রোযা রেখে খেলতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সম্প্রতি ‘রমযান ব্রেক’ এর বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বেলজিয়াম প্রো লিগ এবং ইংলিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএ। এর ফলে ইফতারের সময়টাতে খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রেখে মুসলিম খেলোয়াড়রা সাইড লাইনের ধারে রোযা ভাঙতে পারেন। সেই মতো সম্প্রতি ফুলহ্যামের বিপক্ষে এফএ কাপের ম্যাচের মাঝে ইফতারের ওয়াক্তে খেলা বন্ধ রেখে রোযা ভাঙার সুযোগ পেলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা নওসাইর মাজারুই।
রমযান ব্রেকের আওতায় মাজারুইকে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নেওয়ার সুযোগ দেন সে ম্যাচেরই রেফারি। তবে এর উলটো পথে হাটছে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন। সম্প্রতি তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ফরাসি লিগে কোনও মুসলিম খেলোয়াড় রোযা রেখে খেলতে পারবেন না। উল্লেখ্য, খেলোয়াড়রা যাতে রোযা রেখে ইফতার করতে না পারেন, সেটা মাথায় রেখে গত বছর ইফতারের সময়ে রেফারিদের খেলা বন্ধ না করতে নির্দেশ দিয়েছিল এই ফরাসি ফুটবল সংস্থা।
রোযা রেখে করিম বেঞ্জেমা, সাদিও মানে, মেসুট ওজিল, মুহাম্মাদ সালাহর মতো তারকা ফুটবলাররাও রমযান মাসে রোযা রেখেই মাঠে নামেন। ইতফারের সময় মাঠেই খেজুর, জল দিয়ে রোযা ভাঙেন। তাদের মতো মুসলিম তারকা ফুটবলারদের সুবিধার্তে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ, বুন্দেসলিগা এবং লা লিগার মতো লিগগুলি ইফতার বিরতি প্রদান করে থাকে। অথচ ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের ম্যাচে ফরাসি দলের কোনও মুসলিম ফুটবলার রোযা রেখে খেলতে পারবেন না।
আগামী ২১ মার্চ প্রথম লেগ এবং ২৩ মার্চ দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। নেশন্স লিগের ফ্রান্স দলে রয়েছেন মোট পাঁচ জন মুসলিম খেলোয়াড়। যারা হয়লেন উসমান ডেম্বেলে, এনগোলো কন্তে, এলিয়াস গুয়েন্ডোজি, ইব্রাহিমা কোনাটে এবং ফোরল্যান্ড মেন্ডি। এদিন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত দলের কেউই রোযা রাখতে পারবেন না। যদিও ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের এহেন বিবৃতিকে বিদ্বেষপূর্ণ বলে জানিয়েছেন অনেকে।