০৮ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাংটকে ধস নেমে মৃত মা সহ তার দুই সন্তান, উত্তরবঙ্গে জারি রেড অ্যালার্ট  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 2

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসের কবলে উত্তরবঙ্গ। গ্যাংটকে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সিকিমের গ্যাংটকে ধসে মৃত মা ও তার দুই সন্তান। ধসের ফলে বিমল মঙ্গেরের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিমলের খোঁজ মেলেনি। তার স্ত্রী ডোমা শেরপা, তাদের ১০ ও সাত বছর বয়সি দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির পরে ধস নামে।

ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর-দিনাজপুর জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা ও দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্রপাতের বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।

অন্যদিকে জলমগ্ন অসম। কিছু এলাকা জলের তলায়। এমনিতেই তিস্তা, তোর্সা, সংকোশ ও জলঢাকা নদীতে জল বেড়েছে। আরও জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিস্তাতে হলুদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তিস্তা-ব্যারেজ থেকে এক হাজার ২৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এখন আবার প্রবল বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। অন্যদিকে অসমের শিলচরের অবস্থাও ভয়ঙ্কর। শহরের অনেক জায়গাই ডলে ডুবে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, কিছু এলাকায় বন্যার জল কমছে। কিন্তু কাছার, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। কাছারে ১৫০ বেডের ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারে জল ঢুকে গেছে। জরুরি সার্জারির দরকার হলে হাসপাতালে করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও অ্যানাস্থেশিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস কমে আসছে। চিকিৎসকরা গত সপ্তাহে চারটি অপারেশন করেছেন। আগে তারা সপ্তাহে ২০টি অপারেশন করতেন। এখন ৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গ্যাংটকে ধস নেমে মৃত মা সহ তার দুই সন্তান, উত্তরবঙ্গে জারি রেড অ্যালার্ট  

আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসের কবলে উত্তরবঙ্গ। গ্যাংটকে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সিকিমের গ্যাংটকে ধসে মৃত মা ও তার দুই সন্তান। ধসের ফলে বিমল মঙ্গেরের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিমলের খোঁজ মেলেনি। তার স্ত্রী ডোমা শেরপা, তাদের ১০ ও সাত বছর বয়সি দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির পরে ধস নামে।

ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর-দিনাজপুর জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা ও দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্রপাতের বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।

অন্যদিকে জলমগ্ন অসম। কিছু এলাকা জলের তলায়। এমনিতেই তিস্তা, তোর্সা, সংকোশ ও জলঢাকা নদীতে জল বেড়েছে। আরও জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিস্তাতে হলুদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তিস্তা-ব্যারেজ থেকে এক হাজার ২৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এখন আবার প্রবল বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। অন্যদিকে অসমের শিলচরের অবস্থাও ভয়ঙ্কর। শহরের অনেক জায়গাই ডলে ডুবে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, কিছু এলাকায় বন্যার জল কমছে। কিন্তু কাছার, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। কাছারে ১৫০ বেডের ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারে জল ঢুকে গেছে। জরুরি সার্জারির দরকার হলে হাসপাতালে করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও অ্যানাস্থেশিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস কমে আসছে। চিকিৎসকরা গত সপ্তাহে চারটি অপারেশন করেছেন। আগে তারা সপ্তাহে ২০টি অপারেশন করতেন। এখন ৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।