মক্কার ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে উৎসুক হজযাত্রীদের সমাগম

- আপডেট : ৪ জুলাই ২০২২, সোমবার
- / 12
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে হজযাত্রীরা মসজিদুল হারামে নামায আদায়ের পাশাপাশি মক্কায় অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখছেন। নিজ উদ্যোগে অথবা এজেন্সির ভাড়া বাসে করে ছোট ছোট দলে ঘুরতে যাচ্ছেন তাঁরা। মক্কায় কাবা শরিফের কাছেই জাবালে নুর বা হেরা পর্বত। এ পর্বতে ওঠানামা কঠিন। নবী হজরত মুহাম্মদ সা. নিয়মিত এ পর্বতে ওঠানামা করতেন।
পবিত্র কুরআন প্রথম নাজিল হয়েছিল এখানে। আরবিতে জাবাল মানে পাহাড়, জাবালে নুর অর্থ ‘নুরের পাহাড়’। পাহাড়ে কিছু অংশে পাকা সড়ক রয়েছে। কিছু গাড়ি সে পর্যন্ত যায়। এরপর শুরু হয়েছে পাহাড় কেটে তৈরি সিঁড়ি। জাবালে নুরের উচ্চতা ৫৬৫ মিটার। এখানে পানি ও চা বিক্রি হয়। সিঁড়ি ধরে উঠতে গিয়ে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থেকে আসা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যখন কোনও রাস্তাঘাট ছিল না, তখন কীভাবে নবীজি সা. নিয়মিত এই পাহাড়ের চূড়ার গুহায় যাতায়াত করেছেন।
খাদিজা (রা.)-ই বা কীভাবে নবীজি সা.র জন্য এখানে খাবার দিয়ে যেতেন?’ জাবালে নুরের পর জাবালে সাওর ঘুরে দেখছেন হজযাত্রীরা। কাবা শরিফ থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে অবস্থিত এই গুহা। মক্কা থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে হজরত আবু বকর রা.-কে নিয়ে এই পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন নবী সা.।
তিন দিন, তিন রাত তাঁরা এই গুহায় ছিলেন। শত্রুরা খুঁজতে খুঁজতে গুহার খুব কাছে এসেছিল। কিন্তু গুহামুখে মাকড়সার জাল দেখে তারা ফিরে যায়। হজযাত্রীরা আরও ঘুরে দেখছেন জান্নাতুল মা’আলা কবরস্থান ও মসজিদে জিন। মক্কার বিখ্যাত কবরস্থান জান্নাতুল মা’আলা মসজিদুল হারামের পূর্ব দিকে অবস্থিত। এখানে কোনও কবর বাঁধানো নয়, কবরে নামফলক নেই।
দায়িত্ব পালনরত এক ব্যক্তি জানান, এখানে রয়েছে বিবি খাদিজা রা.র কবর। হজে এসে কেউ মারা গেলে আগে এখানে কবর দেওয়া হতো। জায়গা কম থাকায় এখন শারায়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।