ইসরাইলি বিমান হানায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা, নিহত বেড়ে ৩২

- আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২২, রবিবার
- / 13
হাইলাইটসঃ শনিবার ও রবিবার নতুন করে গাজায় যে হামলা চালানো হয়েছে তাতে সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের বহু সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। এই বিমান হামলার বদলা নিতে গাজা থেকে ৬০০রও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে ইসরাইলে।
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ২০২১ সালে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চালানো ইসরাইলি হামলার রক্তাক্ত স্মৃতি ফিরছে। বিগত দু’দিনে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৩২ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন, আহত ২০০রও বেশি। নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনের ৬টি শিশু রয়েছে।
ইসরাইলের দাবি, শনিবার ও রবিবার নতুন করে যে হামলা চালানো হয়েছে তাতে গাজার ইসলামপন্থী সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের বহু সদস্য নিহত হয়েছেন। তাইসির জাবারির পর খালেদ মনসুর নামে ইসলামিক জিহাদের আরও এক কমাণ্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনা।
ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে গাজা থেকে ৬০০রও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইসরাইল বলেছে, ইসলামিক জিহাদ (পিআইজের) ‘তাৎক্ষণিক হুমকির’ কারণে তারা হামলা শুরু করেছে। ২০২১ সালের মে মাসে ১১ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের পর এটিই ইসরাইল এবং গাজার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘাত।
গত বছর ইসরাইলি হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং ১২ জনের মতো ইসরাইলি নিহত হয়েছিল। ইসরাইল তার এই চলমান অভিযানের নাম দিয়েছে ‘ব্রেকিং ডন’ এবং এক সপ্তাহ ধরে এই অভিযান চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে। ইসরাইল বলছে, গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি, অধিকৃত পশ্চিম তীরে চালানো অভিযানে পিআইজে’র ১৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইহুদি সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের চিহ্নিত করা ইসলামিক জিহাদের সকল কর্মকর্তাই নিহত হয়েছে। এর মধ্যে আছে এর ইসলামিক জিহাদের উচ্চপদস্থ কমাণ্ডার মনসুরও। ইসরাইলের সেনা জানিয়েছে, তারা গাজার মধ্যে বিভিন্ন টার্গেটে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইলের আরও দাবি, ফিলিস্তিনিদের হতাহত হওয়ার প্রধান কারণ তাদের ব্যর্থ রকেট হামলা। ইসরাইলে ছোঁড়া প্রতি চারটি রকেটের একটিই গাজায় পড়ছে।