যোশীমঠের মতো বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে নৈনিতালেও, বড় বিপদের কথা শোনালেন ভূতাত্ত্বিকরা

- আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
- / 7
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: যোশীমঠে ধসের ঘটনায় পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদে অন্যত্রে সরানো হয়েছে স্থানীয় ৬০০ পরিবার। রবিবারও সেখানকার বেশ কিছু বাড়ি, হোটেলে নতুন করে ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। তবে একই অবস্থা হতে পারে পর্যটকদের বিশেষ পছন্দের স্থান নৈনিতালেও এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বশেষজ্ঞরা বলছেন, যোশীমঠের মতোই হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন একাধিক শহর এমন পরিস্থিতির শিকার হতে চলেছে। যার মধ্যে নৈনিতাল অন্যতম। নৈনি লেকের ধারে ছবির মতো সুন্দর শহরও একদিন ধসে যেতে পারে প্রকৃতির লিলায়! এছাড়াও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে উত্তরকাশী ও চম্পাওয়াত শহর। স্থানীয় ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা না করে একের পর এক নির্মাণই এই বিপর্যয়ের প্রধান কারণ বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
ভূতাত্বিকদের গবেষণা অনুযায়ী, পাহাড়ের গায়ের ওপর বেষ্টিত এই সব এলাকা গুলি প্রাকৃতিক কারণবশত দুর্বলই হয়ে থাকে। এরা বেশি চাপ সহ্য করতে সক্ষম হয় না। তারপরেও পরিবেশবিধিকে উড়িয়ে দিয়ে ওই দুর্বল স্থান গুলিতে একের পর এক বাড়ি, হোটেল তৈরি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্বের অধ্যাপক বাহাদুর সিং কোটলিয়া জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের রিপোর্ট অনুসারে যোশীমঠের মতোই নৈনিতাল শহরও ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষের উপর গড়ে উঠেছে।
ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ জিওলজি এবং গ্রাফিক এরা হিল ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গিয়েছে নৈনিতাল অঞ্চল মূলত শেল , স্লেট এবং চুনাপাথরে তৈরি। তুলনামূলক দুর্বল এই শিলার কারণেই নৈনিতালের মাটির উপরিভাগের শক্তি খুব কম। ফলে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে , উপরে উল্লেখিত এলাকাগুলিতে কিছু দিনের মতোই যোশীমঠের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কিন্তু এগুলোর কোনও পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের কথায় ভূতাত্ত্বিক গঠনের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়। তবে, পরিবেশ বুঝে উন্নয়ন হলে অনেকটাই এড়ানো যায় বিপদ!