নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার একটি ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, কোচে ধারণক্ষমতার চেয়েও কেন বেশি পরিমাণে টিকিট বিক্রি করল রেল? পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় একটি কোচে যাত্রীর সংখ্যা নির্দিষ্ট হওয়ার পরেও কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? হাইকোর্টে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, দিল্লি-প্রয়াগরাজ রুটে একযোগে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের যাওয়া আসার কারণে প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত ভিড় হয়, যা এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। আদালতের বেঞ্চ, এদিন রেলওয়ে বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে তারা দ্রুত বিষয়টির পর্যালোচনা করুক এবং পরবর্তীতে একটি সংক্ষিপ্ত হলফনামা জমা দিয়ে এ ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা জানাক। পরবর্তী শুনানির দিন ২৬ মার্চ নির্ধারিত হয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই জনস্বার্থ মামলা রেলওয়ে আইন, বিশেষত ধারা ৫৭ ও ১৪৭ কে লঙ্ঘন করেছে। ধারা ৫৭ অনুযায়ী, প্রতিটি রেল স্টেশনে অবশ্যই এমন একটি ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কোনও কামরায় নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি যাত্রী চলাচল করতে না পারেন। এই বিধি লঙ্ঘন হলে শাস্তির বিধানও রয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জীবনের ধারাকেও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রেলের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, যে সব অভিযোগ উঠে আসছে তা পরীক্ষা করুক রেল। যদিও পরবর্তীতে রেলওয়ে বোর্ডকে বিশদ বিবরণ-সহ একটি হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ গত শনিবার রাতে মহাকুম্ভগামী বিশেষ ট্রেনের ঘোষণা হতেই নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ঢল নামে। ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হতেই কয়েকজন যাত্রী ভিড়ের চাপে পড়ে যান, আর তাঁদের মাড়িয়ে এগিয়ে যান বাকিরা। মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খবর পেয়ে রেল পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।