১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালে মাউন্ট এভারেস্টের কাছে ভেঙে পড়ল কপ্টার, মৃত্যু ক্যাপ্টেন সহ ৬ মেক্সিকান নাগরিকের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 4

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : নেপালে মাউন্ট এভারেস্টের কাছে ভেঙে পড়ল কপ্টার। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ক্যাপ্টেন সহ ৬ মেক্সিকান নাগরিকের। মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ কপ্টারটির সঙ্গে কন্ট্রোল টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যখন হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তখন শুধুমাত্র ভাইবারে একটি ‘হ্যালো’ বার্তা আসে। কপ্টারটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ছিল ৯এম-এএমভি। সোলুখুনভু জেলার লামজুরার কাছে একটি গ্রামের বাসিন্দারা কপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টারটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আশঙ্কা করা হচ্ছিল কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কপ্টারটি। পরে জানা যায়,কপ্টারটিতে থাকা সকল যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ‘মানাং এয়ার’ এর ওই কপ্টারটিতে ছিলেন পাঁচজন বিদেশি যাত্রী ও একজন ক্যাপ্টেন। উড়ান শেষে ফিরে আসার কথা ছিল কাঠমাণ্ডুতে। নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বিমানবন্দরের অফিসার সাগর কাদেল জানিয়েছেন, আবহাওয়ার সমস্যার কারণে হেলিকপ্টারটি রুট পরিবর্তন করে। নেপালের সোলুখুনভুর সুকরে বিমানবন্দর থেকে এদিন সকাল বেলা ১০.০৪ মিনিটে উড়ান শুরু করে হেলিকপ্টারটি। এরপর ১০.১৩ মিনিট থেকেই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এই তথ্য জানিয়েছেন, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার জ্ঞানেন্দ্র ভুল।

স্থানীয়রা জানান, ‘হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার আগে বিকট শব্দ হয়। আকাশে আগুনও দেখেছেন অনেকে।’ উদ্ধারকাজে দুর্ঘটনাস্থলে আরও ২টি কপ্টার পাঠানো হয়।

সোলুখুনভু জেলার আঞ্চলিক কর্মকর্তা সীতা অধিকারী বলেছেন, উদ্ধারকারীরা ছয়জনের মৃতদেহই উদ্ধার করেছে। লাশগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কি কারণে এই দুর্ঘটনা তদন্তের পরই আমরা বিস্তারিত জানতে পারব। দেশটির বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা টেকনাথ সিতৌলা বলেছেন, ক্যাপ্টেন চেত বাহাদুর গুরুংয়ের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। পাঁচ মেক্সিকান নাগরিক ওই হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন।
প্রায় এক দশক ধরে মানাং এয়ারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ক্যাপ্টেন চেত বাহাদুর গুরুং। ১৯৯৮ সাল থেকে বিমান চালাচ্ছেন তিনি। মানাং এয়ার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট সহ দেশের সুউচ্চ শিখর ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের নিয়ে যায়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নেপালে মাউন্ট এভারেস্টের কাছে ভেঙে পড়ল কপ্টার, মৃত্যু ক্যাপ্টেন সহ ৬ মেক্সিকান নাগরিকের

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : নেপালে মাউন্ট এভারেস্টের কাছে ভেঙে পড়ল কপ্টার। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ক্যাপ্টেন সহ ৬ মেক্সিকান নাগরিকের। মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ কপ্টারটির সঙ্গে কন্ট্রোল টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যখন হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তখন শুধুমাত্র ভাইবারে একটি ‘হ্যালো’ বার্তা আসে। কপ্টারটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ছিল ৯এম-এএমভি। সোলুখুনভু জেলার লামজুরার কাছে একটি গ্রামের বাসিন্দারা কপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টারটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আশঙ্কা করা হচ্ছিল কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কপ্টারটি। পরে জানা যায়,কপ্টারটিতে থাকা সকল যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ‘মানাং এয়ার’ এর ওই কপ্টারটিতে ছিলেন পাঁচজন বিদেশি যাত্রী ও একজন ক্যাপ্টেন। উড়ান শেষে ফিরে আসার কথা ছিল কাঠমাণ্ডুতে। নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বিমানবন্দরের অফিসার সাগর কাদেল জানিয়েছেন, আবহাওয়ার সমস্যার কারণে হেলিকপ্টারটি রুট পরিবর্তন করে। নেপালের সোলুখুনভুর সুকরে বিমানবন্দর থেকে এদিন সকাল বেলা ১০.০৪ মিনিটে উড়ান শুরু করে হেলিকপ্টারটি। এরপর ১০.১৩ মিনিট থেকেই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এই তথ্য জানিয়েছেন, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার জ্ঞানেন্দ্র ভুল।

স্থানীয়রা জানান, ‘হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার আগে বিকট শব্দ হয়। আকাশে আগুনও দেখেছেন অনেকে।’ উদ্ধারকাজে দুর্ঘটনাস্থলে আরও ২টি কপ্টার পাঠানো হয়।

সোলুখুনভু জেলার আঞ্চলিক কর্মকর্তা সীতা অধিকারী বলেছেন, উদ্ধারকারীরা ছয়জনের মৃতদেহই উদ্ধার করেছে। লাশগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কি কারণে এই দুর্ঘটনা তদন্তের পরই আমরা বিস্তারিত জানতে পারব। দেশটির বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা টেকনাথ সিতৌলা বলেছেন, ক্যাপ্টেন চেত বাহাদুর গুরুংয়ের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। পাঁচ মেক্সিকান নাগরিক ওই হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন।
প্রায় এক দশক ধরে মানাং এয়ারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ক্যাপ্টেন চেত বাহাদুর গুরুং। ১৯৯৮ সাল থেকে বিমান চালাচ্ছেন তিনি। মানাং এয়ার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট সহ দেশের সুউচ্চ শিখর ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের নিয়ে যায়।