১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্ঞানেশ্বরী মামলায় ১২ জন অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হাইকোর্টে  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 6

পারিজাত মোল্লাঃ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জ্ঞানেশ্বরী মামলায় ১২ জন অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন মামলার শুনানি ছিল। মঙ্গলবার  ১২ জনকে জামিন দিল হাইকোর্ট। যদিও এখনও জ্ঞানেশ্বরী নাশকতার ঘটনার মামলা চলছে নিম্ন আদালতে।

আদালত সূত্রে প্রকাশ, গত ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। শতাধিক যাত্রী আহত হন।

অভিযোগ ওঠে, আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের চালকের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই।   ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে তারা। মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে এই মামলা ওঠে। আদালতের নির্দেশেই অভিযুক্তদের জেলে পাঠানো হয়।

অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবীদের দাবি,  তাঁদের মক্কেল দীর্ঘদিন জেল খাটছে। দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করা হোক’। নিম্ন আদালত থেকে জামিনে আবেদন মামলা সরিয়ে আনা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এতদিন পর জামিন পেল অভিযুক্তরা। নিম্ন আদালতে নির্ধারিত সূচি মেনে শুনানি চলবে এই মামলা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জ্ঞানেশ্বরী মামলায় ১২ জন অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হাইকোর্টে  

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পারিজাত মোল্লাঃ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জ্ঞানেশ্বরী মামলায় ১২ জন অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন মামলার শুনানি ছিল। মঙ্গলবার  ১২ জনকে জামিন দিল হাইকোর্ট। যদিও এখনও জ্ঞানেশ্বরী নাশকতার ঘটনার মামলা চলছে নিম্ন আদালতে।

আদালত সূত্রে প্রকাশ, গত ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। শতাধিক যাত্রী আহত হন।

অভিযোগ ওঠে, আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের চালকের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই।   ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে তারা। মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে এই মামলা ওঠে। আদালতের নির্দেশেই অভিযুক্তদের জেলে পাঠানো হয়।

অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবীদের দাবি,  তাঁদের মক্কেল দীর্ঘদিন জেল খাটছে। দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করা হোক’। নিম্ন আদালত থেকে জামিনে আবেদন মামলা সরিয়ে আনা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এতদিন পর জামিন পেল অভিযুক্তরা। নিম্ন আদালতে নির্ধারিত সূচি মেনে শুনানি চলবে এই মামলা।