২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘হিন্দু কোনও ধর্মীয় শব্দ নয়’ মন্তব্য কেরলের রাজ্যপাল  আরিফ মহম্মদ খানের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 16

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আমাকে ‘হিন্দু’ বলুন  অসুবিধা নেই। এটা কোনও ধর্মীয় শব্দ নয়। যারা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছে, এখানের খাবার খেয়েছে তারা সকলেই হিন্দু। এটা একটা ভৌগোলিক শব্দ। শনিবার  তিরুবনন্তপুরমের  হিন্দু আলোচনাচক্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেরলের  রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের মুখে। নিজের ভাষণ আরও জোরালো করতে তিনি ‘স্যার সৈয়দ সৈয়দ আহমদ খানের এক প্রসঙ্গ টেনে আনে তিনি।

এদিন সভায় আরিফ মহম্মদ বলেন,   ‘স্যার সৈয়দ সৈয়দ আহমদ খান নিজেই বলেছিলেন তিনি হিন্দু। তৎকালীন আর্য সমাজের একটি সভায় একথা বলেন তিনি। তিনি মনে করতেন হিন্দু কোনও ধর্মীয় শব্দ নয়, বরং এটি একটি ভৌগলিক শব্দ।’ যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করছেন, এদেশের খাবার খাচ্ছেন বা এদেশের নদীর জল পান করছেন, তাঁরা সকলকেই হিন্দু তকমা পাওয়ার যোগ্য।

ধর্মভিত্তিক বিভাজনের নীতি ব্রিটিশরা এদেশে চালু করেছিল। ঔপনিবেশিক যুগে সাধারণের অধিকারের নির্ধারনে হিন্দু, মুসলিম বা শিখ শব্দগুলি ব্যবহার করতেন ব্রিটিশ শাসকরা।” এখন যে ভাবে ধর্ম বিভাজনের রাজনীতি হয়। সত্যি আমি অবাক হয়ে যায়। আমার মনে হয় যেহেতু আমরা ভারতে বাস করি, আমরা সকলেই ভারতবাসী।

এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বি মুরলিধরনও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও সমর্থন করেন আরিফ মহম্মদ খানকে। তিনি বলেন, ‘গোটা দেশে ষড়যন্ত্র চলছে যাতে মানুষ নিজেকে হিন্দু না ভাবে। স্বাধীনতার আগে সমস্ত রাজা মহারাজারা মন থেকে সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করতেন। সমস্ত ধর্মকে সঙ্গে নিয়ে চলতেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘হিন্দু কোনও ধর্মীয় শব্দ নয়’ মন্তব্য কেরলের রাজ্যপাল  আরিফ মহম্মদ খানের

আপডেট : ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আমাকে ‘হিন্দু’ বলুন  অসুবিধা নেই। এটা কোনও ধর্মীয় শব্দ নয়। যারা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছে, এখানের খাবার খেয়েছে তারা সকলেই হিন্দু। এটা একটা ভৌগোলিক শব্দ। শনিবার  তিরুবনন্তপুরমের  হিন্দু আলোচনাচক্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেরলের  রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের মুখে। নিজের ভাষণ আরও জোরালো করতে তিনি ‘স্যার সৈয়দ সৈয়দ আহমদ খানের এক প্রসঙ্গ টেনে আনে তিনি।

এদিন সভায় আরিফ মহম্মদ বলেন,   ‘স্যার সৈয়দ সৈয়দ আহমদ খান নিজেই বলেছিলেন তিনি হিন্দু। তৎকালীন আর্য সমাজের একটি সভায় একথা বলেন তিনি। তিনি মনে করতেন হিন্দু কোনও ধর্মীয় শব্দ নয়, বরং এটি একটি ভৌগলিক শব্দ।’ যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করছেন, এদেশের খাবার খাচ্ছেন বা এদেশের নদীর জল পান করছেন, তাঁরা সকলকেই হিন্দু তকমা পাওয়ার যোগ্য।

ধর্মভিত্তিক বিভাজনের নীতি ব্রিটিশরা এদেশে চালু করেছিল। ঔপনিবেশিক যুগে সাধারণের অধিকারের নির্ধারনে হিন্দু, মুসলিম বা শিখ শব্দগুলি ব্যবহার করতেন ব্রিটিশ শাসকরা।” এখন যে ভাবে ধর্ম বিভাজনের রাজনীতি হয়। সত্যি আমি অবাক হয়ে যায়। আমার মনে হয় যেহেতু আমরা ভারতে বাস করি, আমরা সকলেই ভারতবাসী।

এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বি মুরলিধরনও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও সমর্থন করেন আরিফ মহম্মদ খানকে। তিনি বলেন, ‘গোটা দেশে ষড়যন্ত্র চলছে যাতে মানুষ নিজেকে হিন্দু না ভাবে। স্বাধীনতার আগে সমস্ত রাজা মহারাজারা মন থেকে সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করতেন। সমস্ত ধর্মকে সঙ্গে নিয়ে চলতেন।