১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হর্ষ মান্দারের এনজিও-তে তদন্ত করুক সিবিআই, চাইছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 8

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার কেন্দ্রের নিশানায় খ্যাতনামা মানবাধিকার কর্মী ও লেখক হর্ষ মান্দার। নোবেল শান্তি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নামও উঠেছিল হর্ষ মান্দারের। তাঁর এনজিও ‘আমান বিরাদারি’র বিদেশি অনুদানে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই, শাহের মন্ত্রক সিবিআইকে বলেছে তদন্ত শুরু করতে। হর্ষ মান্দারের এনজিও বিদেশি অনুদান আইন ভঙ্গ করেছে বলে আভিযোগ করা হচ্ছে। ইউপিএ জমানায় সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন হর্ষ। তখনই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘আমান বিরাদারি’ নামে এনজিওটির। এই সংস্থার কাজ হল বিশ্বজুড়ে ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ইনসাফের কথার প্রচার ও প্রসার করা ।

কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কড়া সমালোচক হর্ষ মান্দার। আইএএস হিসেবে তিনি প্রায় দু’দশক মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে কাজ করেছিলেন। ২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গার পরে, জাতির উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে মোদি সরকারের প্রশাসনিক প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় দাঙ্গার নামে পরিকল্পিত সংখ্যালঘু নিধনের অভিযোগ তুলেছিলেন হর্ষ মান্দার। সাম্প্রদায়িক  সম্প্রীতির আলোকশিখা নিয়ে দাঙ্গা বিধ্বস্ত অঞ্চলে তিনি শুরু করেছিলেন ভালবাসা বিতরণের কর্মসূচি- কারওয়ান-এ-মহব্বত। দাঙ্গায় পরিবার হারানো শিশুদের দেখভালের কাজ শুরু করেছিলেন । স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ছত্রছায়ায় ছেলে ও মেয়েদের জন্য দিল্লিতে পৃথক দু’টি আশ্রয়কেন্দ্র গড়েছিলেন। ছেলেদের আশ্রয়কেন্দ্র ‘উম্মিদ-আমন ঘর’ এবং মেয়েদের অনাথাশ্রম ‘খুশি-রেনবো হোম’-এ  এর আগেই তল্লাশি করেছে ইডি।

২০০২ গুজরাট দাঙ্গার পর হর্ষ মান্দার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রচারের জন্য ‘আমান বিরাদারি’র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেসব প্রতিষ্ঠান সংবিধান বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে কাজ করে ‘আমান বিরাদারি’ বরাবর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করেছে। সংবিধানের মূল্যবোধ জনমনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এমনটাই লেখা রয়েছে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ মান্দারের ওয়েবসাইটে। ২০২২  এর অক্টোবর মাসে রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন  এবং রাজীব গান্ধি  চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর এফসিইআরএ নিবন্ধন বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাদের বিরুদ্ধে এফসিআরএ আইন ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছিল।  এই দুটি এনজিও-র মাথায় ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি। ২০১৮ থেকে ২০২২ এর মধ্যে, ১,৮২৭টি অ্যাসোসিয়েশনের এফসিআরএ নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। আইন ভঙ্গের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হর্ষ মান্দারের এনজিও-তে তদন্ত করুক সিবিআই, চাইছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার কেন্দ্রের নিশানায় খ্যাতনামা মানবাধিকার কর্মী ও লেখক হর্ষ মান্দার। নোবেল শান্তি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নামও উঠেছিল হর্ষ মান্দারের। তাঁর এনজিও ‘আমান বিরাদারি’র বিদেশি অনুদানে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই, শাহের মন্ত্রক সিবিআইকে বলেছে তদন্ত শুরু করতে। হর্ষ মান্দারের এনজিও বিদেশি অনুদান আইন ভঙ্গ করেছে বলে আভিযোগ করা হচ্ছে। ইউপিএ জমানায় সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন হর্ষ। তখনই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘আমান বিরাদারি’ নামে এনজিওটির। এই সংস্থার কাজ হল বিশ্বজুড়ে ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ইনসাফের কথার প্রচার ও প্রসার করা ।

কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কড়া সমালোচক হর্ষ মান্দার। আইএএস হিসেবে তিনি প্রায় দু’দশক মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে কাজ করেছিলেন। ২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গার পরে, জাতির উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে মোদি সরকারের প্রশাসনিক প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় দাঙ্গার নামে পরিকল্পিত সংখ্যালঘু নিধনের অভিযোগ তুলেছিলেন হর্ষ মান্দার। সাম্প্রদায়িক  সম্প্রীতির আলোকশিখা নিয়ে দাঙ্গা বিধ্বস্ত অঞ্চলে তিনি শুরু করেছিলেন ভালবাসা বিতরণের কর্মসূচি- কারওয়ান-এ-মহব্বত। দাঙ্গায় পরিবার হারানো শিশুদের দেখভালের কাজ শুরু করেছিলেন । স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ছত্রছায়ায় ছেলে ও মেয়েদের জন্য দিল্লিতে পৃথক দু’টি আশ্রয়কেন্দ্র গড়েছিলেন। ছেলেদের আশ্রয়কেন্দ্র ‘উম্মিদ-আমন ঘর’ এবং মেয়েদের অনাথাশ্রম ‘খুশি-রেনবো হোম’-এ  এর আগেই তল্লাশি করেছে ইডি।

২০০২ গুজরাট দাঙ্গার পর হর্ষ মান্দার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রচারের জন্য ‘আমান বিরাদারি’র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেসব প্রতিষ্ঠান সংবিধান বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে কাজ করে ‘আমান বিরাদারি’ বরাবর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করেছে। সংবিধানের মূল্যবোধ জনমনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এমনটাই লেখা রয়েছে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ মান্দারের ওয়েবসাইটে। ২০২২  এর অক্টোবর মাসে রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন  এবং রাজীব গান্ধি  চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর এফসিইআরএ নিবন্ধন বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাদের বিরুদ্ধে এফসিআরএ আইন ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছিল।  এই দুটি এনজিও-র মাথায় ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি। ২০১৮ থেকে ২০২২ এর মধ্যে, ১,৮২৭টি অ্যাসোসিয়েশনের এফসিআরএ নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। আইন ভঙ্গের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।