লখনউ, ১৫ মার্চ: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হল উত্তরপ্রদেশের এক যুবক। রবীন্দ্র কুমার নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ আন্টি-টেররিসম স্কোয়াড (এটিএস)। ফিরোজাবাদের অর্ডিন্যান্স কারখানা থেকে ধৃতকে গ্রেফতার করে এটিএস। শুক্রবার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফিরোজাবাদ জেলার হজরতপুরের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কর্মরত যুবককে লখনউয়ের এটিএসের সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর অসঙ্গতি মেলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এটিএস সূত্রে খবর, নেহা শর্মা নামে এক যুবতীর সঙ্গে বছর খানেক আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ধৃত রবীন্দ্রর। এরপর ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়। প্রেমিকার পরিচয় গোপন রাখতে অন্য নামে তাঁর ফোন নম্বর মোবাইলে সেভ করেছিলেন রবীন্দ্র। প্রেমে মজে রবীন্দ্র ওই মেয়েকে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির একাধিক তথ্য সরবরাহ করতে থাকে। মূলত হোয়াটসঅ্যাপে এই তথ্য আদানপ্রদান হতো। এটিএস-এর এডিজি নীলাভজা চৌধুরী জানিয়েছেন, “পাক তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে রবীন্দ্র এমন একাধিক তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে। যা দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় আঘাত হানতে পারে। তার মোবাইল ঘেঁটে গুপ্তচরবৃত্তির প্রমাণ মিলেছে।”
তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ধৃত মাঝেমধ্যেই ওই যুবতীকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করত। দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের টার্গেট করতেই ‘হানিট্র্যাপ’ টেকনিক ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে এই ‘হানিট্র্যাপ’ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এডিজি বলেন, “এই আইএসআই মডিউল দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ফিরোজাবাদের ওই কারখানার রিকুইজিশন লিস্ট, স্ক্রিনিং কমিটির গোপন চিঠি থেকে শুরু করে ড্রোন, গগনযান প্রকল্পের নানা জরুরি তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য নেহার মাধ্যমে সোজা পৌঁছে যেত আইএসআই-এর কাছে। এমনকী আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও রবীন্দ্র জানাত নেহাকে। সরাসরি আইএসআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রবীন্দ্রর।” এদিকে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে এটিএস কর্তাদের।