পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে ফের জাল ওষুধ চক্রের হদিশ। ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের আধিকারিকদের হানায় উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল ওষুধ। সেই সঙ্গে জাল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আমতার একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থা জাল ওষুধের ব্যবসা করছিল। একটি নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার রক্তচাপের জাল ওষুধ বিক্রির অভিযোগ এসেছিল আমতার একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে, বৃহস্পতিবার ওই সংস্থার গুদামে হানা দেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের আধিকারিকরা।
তারপরই বড় মাপের জাল ওষুধ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়। ২০ লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত। এখনও অধরা ১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ!
সূত্রের খবর, এদিন আমতার মান্না এজেন্সি নামে হোলসেলারের গোডাউনে হানা দিয়ে কার্যত চোখ কপালে উঠে যায় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকেরা। অভিযোগ এখানেই মজুত ছিল প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ। সবই এ দিন বাজেয়াপ্ত করে ফেলা হয়। সূত্রের খবর, মোট ১ কোটি ৬৯ লক্ষটাকার জাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলায়। কিন্তু, এর মধ্যে রক্তচাপের ওষুধ ঘিরে বড় মাপের কেলেঙ্কারি। আর গোটাটাই হয়েছে রাজ্যের অন্দরে।
ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, জাল ওষুধের চক্রে একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর যুক্ত রয়েছে। সেই সকল ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমেই গোটা রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা। জাল ওষুধের কারবারের দায়ে গ্রেফতার আমতার করা হয়েছে হোলসেলার বাবলু মান্নাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখন নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা, চক্রের সঙ্গে যুক্ত নতুন কোনও ব্যক্তির খোঁজ মেলে কিনা এখন সেটাই দেখার।