১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ বছরে স্বামী পরিত্যক্তা ২৩০০’র বেশি অনাবাসী ভারতীয় মহিলা! সংসদে বিবৃতি দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 7

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দেশ থেকে বিবাহসূত্রে বিদেশে গিয়ে মহিলারা অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন। ফলে বহু ক্ষেত্রেই স্বামী বিচ্ছিন্না বা পরিত্যক্তা হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গত পাঁচ বছরে স্বামী পরিত্যক্তা হয়েছেন প্রায় ২৩০০’র বেশি অনাবাসী ভারতীয় মহিলা। স্বামী বিচ্ছিন্না মহিলাদের কাছ থেকেই এই অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার প্রশ্নের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন।

প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন, গত ২২ ডিসেম্বর সংসদে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, অনাবাসী মহিলাদের কাছ থেকে প্রায় ২৩৭২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যারা স্বামীদের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়েছেন।

সংসদে আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার একটি প্রশ্নের উত্তরে এই জবাব দেন মন্ত্রী।  মুরালিধরন বলেন, স্বামী বিচ্ছিন্না, গার্হস্থ্য সহিংসতা, হয়রানি এবং অন্যান্য বৈবাহিক বিরোধের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে স্বামী বিচ্ছিন্না ভারতীয় মহিলাদের কাউন্সেলিং, আইনি পরামর্শ, নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়া হয়।

ভি মুরালিধরনের সংসদে দাবি করেছেন, ভারতীয় মিশন এবং পোস্টগুলি অভিযোগ সমাধানে মহিলা সহ দুস্থ ভারতীয়দের জন্য ওয়াক-ইন সেশন এবং ওপেন হাউস মিটিং পরিচালনা করে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘কেন্দ্রীভূত পাবলিক গ্রাভিয়েন্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম’, ‘মদদ’ এর মতো ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন নাম্বার খোলা থাকে সোশ্যাল মাধ্যমে।

মন্ত্রী জানান, ভারতীয় সম্প্রদায় কল্যাণ তহবিলের (আইসিডাব্লুএফ) অধীনে দুস্থ এনআরআই মহিলাদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও মহিলাদের বিভিন্ন সংগঠন, সমাজসেবী সংস্থার মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাসোসিয়েশনগুলিও সাহায্য করে থাকে।

সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় দেওয়ানি এবং ফৌজদারি উভয় ক্ষেত্রেই সমন জারি করার প্রক্রিয়া রয়েছে যা সাধারণত পারস্পরিক চুক্তির অধীনে নিয়ন্ত্রিত হয়। বৈবাহিক বিরোধের আইনি সমনও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশিত হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাঁচ বছরে স্বামী পরিত্যক্তা ২৩০০’র বেশি অনাবাসী ভারতীয় মহিলা! সংসদে বিবৃতি দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দেশ থেকে বিবাহসূত্রে বিদেশে গিয়ে মহিলারা অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন। ফলে বহু ক্ষেত্রেই স্বামী বিচ্ছিন্না বা পরিত্যক্তা হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গত পাঁচ বছরে স্বামী পরিত্যক্তা হয়েছেন প্রায় ২৩০০’র বেশি অনাবাসী ভারতীয় মহিলা। স্বামী বিচ্ছিন্না মহিলাদের কাছ থেকেই এই অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার প্রশ্নের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন।

প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন, গত ২২ ডিসেম্বর সংসদে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, অনাবাসী মহিলাদের কাছ থেকে প্রায় ২৩৭২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যারা স্বামীদের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়েছেন।

সংসদে আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার একটি প্রশ্নের উত্তরে এই জবাব দেন মন্ত্রী।  মুরালিধরন বলেন, স্বামী বিচ্ছিন্না, গার্হস্থ্য সহিংসতা, হয়রানি এবং অন্যান্য বৈবাহিক বিরোধের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে স্বামী বিচ্ছিন্না ভারতীয় মহিলাদের কাউন্সেলিং, আইনি পরামর্শ, নির্দেশিকা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়া হয়।

ভি মুরালিধরনের সংসদে দাবি করেছেন, ভারতীয় মিশন এবং পোস্টগুলি অভিযোগ সমাধানে মহিলা সহ দুস্থ ভারতীয়দের জন্য ওয়াক-ইন সেশন এবং ওপেন হাউস মিটিং পরিচালনা করে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘কেন্দ্রীভূত পাবলিক গ্রাভিয়েন্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম’, ‘মদদ’ এর মতো ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন নাম্বার খোলা থাকে সোশ্যাল মাধ্যমে।

মন্ত্রী জানান, ভারতীয় সম্প্রদায় কল্যাণ তহবিলের (আইসিডাব্লুএফ) অধীনে দুস্থ এনআরআই মহিলাদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও মহিলাদের বিভিন্ন সংগঠন, সমাজসেবী সংস্থার মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাসোসিয়েশনগুলিও সাহায্য করে থাকে।

সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় দেওয়ানি এবং ফৌজদারি উভয় ক্ষেত্রেই সমন জারি করার প্রক্রিয়া রয়েছে যা সাধারণত পারস্পরিক চুক্তির অধীনে নিয়ন্ত্রিত হয়। বৈবাহিক বিরোধের আইনি সমনও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশিত হয়।