পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রথম পক্ষের সন্তানকে কেন্দ্র করে অশান্তি! স্ত্রী’র ধর থেকে মুণ্ডু (BEHEAD) আলাদা করে নৃশংস খুন স্বামীর। শুধু তাই নয়, দেহ লোপাট করতে টুকরো টুকরো (BEHEAD) করার অভিযোগও উঠেছে। মৃত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী। সম্প্রতি কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ট্রলি ব্যাগ থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এবার BEHEAD কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটল মহারাষ্ট্রের পালঘরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার পালঘরের ভিরা এলাকায় একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টি নজরে আসতে পুলিশের কাছে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার খুলি। পাশেই একটি ছোট গয়নার ব্যাগও পড়েছিল।
READ MORE: ট্যাঙ্কার উল্টে গ্যাস লিক Nalhati-তে
পুলিশ জানিয়েছে, সেই ছোট ব্যাগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গয়নার দোকানের ঠিকানা ছিল। সঙ্গে ফোন নম্বরও। উক্ত নাম্বারে ফোন করে মহিলাটির সম্বন্ধে জানতে পারে পুলিশ। দোকান থেকে জানানো হয়, ওই মহিলা তাদের গ্রাহক। বিল দেখে মহিলার নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া হয় পুলিশকে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ওই নাম্বার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মহিলার নাম উৎপলা।
এরাজ্যের বাসিন্দা। বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করলে পুলিশ তাঁর স্বামী হরিশ হিপ্পারগির হদিশ পায়। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। জানান, উৎপলার দ্বিতীয় স্বামী তিনি। তাঁর প্রথমপক্ষের এক ছেলে রয়েছে। এই ছেলেকে নিয়েই দু’জনের মধ্যে প্রায়দিনই ঝামেলা হতো। গত ৮ জানুয়ারি বচসা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। রাগের বসে উৎপলার শ্বাসরোধ করে খুন করেন হরিশ। এরপর স্ত্রীর দেহ ভিরারের এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে কুড়াল দিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ব্যাগে ভরে ফেলে দেন। আর বাকি দেহাংশ কুচি কুচি করে কেটে একটি খালে ফেলে দেয়।
এরপর বাড়ি এসে সৎ ছেলেকে জানান মা বাপের বাড়ি গিয়েছে। পরের দিনই নিজের ফোন নম্বর আর ঠিকানাও বদলে ফেলেন হরিশ। কিন্তু দু’মাস তিনি ধরা পরেই গেলেন। তবে উৎপলার ধর এখনও উদ্ধার হয়নি। জারি তদন্ত।