১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় রমযানে মূল্য বৃদ্ধির পরিবর্তে কমানোর প্রতিযোগিতা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 6

পুবের কলম প্রতিবেদক: সউদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাধারণত মালয়েশিয়ায় রোযা ও ঈদ উদযাপন করা হয়। রমজান মাস এলেহ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মালয়েশিয়ায় তেমনটা হয় না । অবিশ্বাস্য মনে হলেও মালয়েশিয়ায় পণ্যমূল্য না বাড়িয়ে উল্টো ডিসকাউন্ট দিয়ে দাম কমানোর প্রতিযোগিতা করেন ব্যবসায়ীরা।

মালয়েশিয়ায় খোলাবাজারে দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি হয় না। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা চেইন সুপারশপ, হাইপার মার্কেটগুলোতে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি হয়। সরেজমিনে সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে, রমযান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীতে ডিসকাউন্ট স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটগুলোর মধ্যে রয়েছে, মাইডিন, জায়ান্ট, এনএসকে, ইকোনসেভ, সেগী ফ্রেশ, জায়াগ্রোসারী ইত্যাদি।

 

মালয়েশিয়ায় এবারই প্রথম নয়, প্রতিবারই দেখা যায় রমযান মাস আসার পূর্ব মুহূর্তে কিংবা পর মুহূর্তে পণ্যমূল্যের কোনও পরিবর্তন হয় না। দেশটিতে পণ্যসামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, চেইন সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান খুব কঠোরহাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দেওয়ান বান্ডারায়া কুয়ালালামপুর (ডিবিকেএল) নামে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেনিয়ম দেখলেই গ্রেফতার তো করেনই। সঙ্গে জেল-জরিমানা ।

 

এই বাহিনীর ভয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি তো দূরের কথা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখাসহ কোনো অনিয়ম করতে শতবার চিন্তা করেন দোকানদাররা। ডিবিকেএল সব সময় বাজারে ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি করায় তাদেরকে ফাঁকি দেওয়া দুঃসাধ্য। রোজা না রেখে দিনের বেলায় আহার করা অবস্থায় ধরা পড়লে দেশটির শরিয়াহ আদালতে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মালয়েশিয়ায় রমযানে মূল্য বৃদ্ধির পরিবর্তে কমানোর প্রতিযোগিতা

আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: সউদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাধারণত মালয়েশিয়ায় রোযা ও ঈদ উদযাপন করা হয়। রমজান মাস এলেহ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মালয়েশিয়ায় তেমনটা হয় না । অবিশ্বাস্য মনে হলেও মালয়েশিয়ায় পণ্যমূল্য না বাড়িয়ে উল্টো ডিসকাউন্ট দিয়ে দাম কমানোর প্রতিযোগিতা করেন ব্যবসায়ীরা।

মালয়েশিয়ায় খোলাবাজারে দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি হয় না। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা চেইন সুপারশপ, হাইপার মার্কেটগুলোতে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি হয়। সরেজমিনে সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে, রমযান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীতে ডিসকাউন্ট স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটগুলোর মধ্যে রয়েছে, মাইডিন, জায়ান্ট, এনএসকে, ইকোনসেভ, সেগী ফ্রেশ, জায়াগ্রোসারী ইত্যাদি।

 

মালয়েশিয়ায় এবারই প্রথম নয়, প্রতিবারই দেখা যায় রমযান মাস আসার পূর্ব মুহূর্তে কিংবা পর মুহূর্তে পণ্যমূল্যের কোনও পরিবর্তন হয় না। দেশটিতে পণ্যসামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, চেইন সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান খুব কঠোরহাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দেওয়ান বান্ডারায়া কুয়ালালামপুর (ডিবিকেএল) নামে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেনিয়ম দেখলেই গ্রেফতার তো করেনই। সঙ্গে জেল-জরিমানা ।

 

এই বাহিনীর ভয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি তো দূরের কথা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখাসহ কোনো অনিয়ম করতে শতবার চিন্তা করেন দোকানদাররা। ডিবিকেএল সব সময় বাজারে ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি করায় তাদেরকে ফাঁকি দেওয়া দুঃসাধ্য। রোজা না রেখে দিনের বেলায় আহার করা অবস্থায় ধরা পড়লে দেশটির শরিয়াহ আদালতে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়।