২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নামেই অস্ত্রবিরতি, সুদানে যুদ্ধ অব্যাহত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার
  • / 18

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ৩ দিনের অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও সুদানের রাজধানী খার্তুম ও পার্শ্ববর্তী শহরে বিক্ষিপ্ত গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দেশটির সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলা লড়াই বুধবার ১২তম দিনে গড়িয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকার খবর দিয়েছেন দেশটির এক রাজনীতিক। দুই পক্ষের লড়াইয়ে ভুতূড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে রাজধানী খার্তুম।

বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সাময়িক অস্ত্রবিরতির সুযোগে বিদেশিদের পাশাপাশি দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন সুদানের নাগরিকরাও। সুদানের অসামরিক রাজনৈতিক জোট ফোর্সেস ফর ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্জের (এফএফসি) প্রথম সারির নেতা ইয়াসির আরমান পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল এবং হাসপাতালগুলোতে জেনারেটর পাঠাতে মানবিক সংগঠনগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইয়াসির আরমান বলেন, ‘রাস্তায় রাস্তায় মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। অসুস্থ লোকজন ওষুধ পাচ্ছেন না।

কোনও পানি কিংবা বিদ্যুৎ নেই। অস্ত্রবিরতি চলাকালে লোকজনকে লাশ দাফনের সুযোগ দেওয়া উচিত।’ নাম না প্রকাশ করার শর্তে খার্তুমের এক বাসিন্দা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমতে থাকলে লড়াইরত বাহিনীগুলো অসামরিক নাগরিকদের প্রতি আরও কম শ্রদ্ধা দেখাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। রাষ্ট্রসংঘ বলছে, খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহও সীমিত। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। বাসিন্দারা বলছেন, মিশরে যাওয়ার বাস টিকিটের দাম ছয় গুণ বেড়ে ৩৪০ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ৪২৭ জন নিহত ও ৩,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নামেই অস্ত্রবিরতি, সুদানে যুদ্ধ অব্যাহত

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ৩ দিনের অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও সুদানের রাজধানী খার্তুম ও পার্শ্ববর্তী শহরে বিক্ষিপ্ত গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দেশটির সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলা লড়াই বুধবার ১২তম দিনে গড়িয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকার খবর দিয়েছেন দেশটির এক রাজনীতিক। দুই পক্ষের লড়াইয়ে ভুতূড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে রাজধানী খার্তুম।

বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সাময়িক অস্ত্রবিরতির সুযোগে বিদেশিদের পাশাপাশি দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন সুদানের নাগরিকরাও। সুদানের অসামরিক রাজনৈতিক জোট ফোর্সেস ফর ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্জের (এফএফসি) প্রথম সারির নেতা ইয়াসির আরমান পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল এবং হাসপাতালগুলোতে জেনারেটর পাঠাতে মানবিক সংগঠনগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইয়াসির আরমান বলেন, ‘রাস্তায় রাস্তায় মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। অসুস্থ লোকজন ওষুধ পাচ্ছেন না।

কোনও পানি কিংবা বিদ্যুৎ নেই। অস্ত্রবিরতি চলাকালে লোকজনকে লাশ দাফনের সুযোগ দেওয়া উচিত।’ নাম না প্রকাশ করার শর্তে খার্তুমের এক বাসিন্দা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমতে থাকলে লড়াইরত বাহিনীগুলো অসামরিক নাগরিকদের প্রতি আরও কম শ্রদ্ধা দেখাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। রাষ্ট্রসংঘ বলছে, খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহও সীমিত। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। বাসিন্দারা বলছেন, মিশরে যাওয়ার বাস টিকিটের দাম ছয় গুণ বেড়ে ৩৪০ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ৪২৭ জন নিহত ও ৩,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।