১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অতীতে অশান্তির ঘটনার পরিপেক্ষিতে আইএসএফ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? জানতে চায় হাইকোর্ট

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার
  • / 2

মোল্লা জসিমউদ্দিন: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে চলছে আইএসএফ এর সভার অনুমতি সংক্রান্ত মামলা। ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আইএসএফ। এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি বলেন, ‘অন্য দল সভা করতে পারলে আইএসএফ কেন নয়?’ সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই হোক সভা। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালো কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে আইএসএফ সমর্থকদের অতীতের ভূমিকা। গত বছর রানি রাসমণি রোডের সভায় গন্ডগোলের এবং পুলিশকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি।

 

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, ‘গত বছর কী ঘটেছিল? এবং কেন ঘটেছিল? তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে আইএসএফ-কে’। এরপর মামলাকারীর আইনজীবী কে বিচারপতি বলেন, ‘তৃণমূল বা অন্যান্য দল সভা করে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে গন্ডগোলের অভিযোগ ওঠে না। কেউ উস্কানি দিতে পারে, কিন্তু নিজের সমর্থকদের আটকানো কার কাজ?’ ওই জায়গায় সভা করতে বারণ করছে না আদালত। কিন্তু স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করুক আইএসএফ। সমর্থক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজেরাই বিধিনিষেধ আরোপ করুক দল। পরামর্শ সিঙ্গেল বেঞ্চের। তবে রাজ্য জানায়, ‘ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সরিয়ে অন্যত্র করা হোক সভা’।

 

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজেদের অবস্থান জানাবে আইএসএফ এবং পুলিশ। আজ ফের শুনানি। ধর্মতলার মোড়ে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে প্রতিবছর ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। ঠিক সেই জায়গাতেই ২১ জানুয়ারি সভা করার অনুমতি চেয়েছিল আব্বাস ও নওসাদ সিদ্দিকির আইএসএফ। রাজ্য পুলিশ তাতে সম্মতি দেয়নি। কারণ, পুলিশের যুক্তি গত বছর আইএসএফের রানি রাসমণি রোডের সভায় অশান্তি হয়েছিল।এর আগে ধর্মতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সভা করতে চেয়ে পুলিশের কাছে বাধা পেয়েছিল বিজেপি। তার পর শুভেন্দু অধিকারীরা তা নিয়ে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ওখানে সভা করা নিয়ে দ্বিচারিতা কেন? তাহলে কি ওখানে তৃণমূলের সভাও বন্ধ দেব?’ এ কথা বলে বিজেপিকে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোট।

 

তিন বছর আগে ২১শে জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট গঠন করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এবার প্রতিষ্ঠা দিবসে তাঁরা ধর্মতলার মোড়ে সভা করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিলেন হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশের যুক্তি গত বছর রানি রাসমণি রোডে আইএসএফের সভায় অশান্তি হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হয়েছিল। তাই আপত্তি করা হয়েছে। একথা জেনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘সভার স্থান পরিবর্তন করতে এখনই বলা হচ্ছে না। তবে গতবারের ঝামেলা থেকে বিরত থাকতে আইএসএফ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? সে ব্যাপারে তাদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। তা ছাড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কতটা নিরাপত্তা দেওয়া যেতে পারে তা নিয়েও বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে হবে’। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আজ চুড়ান্ত রায়দান হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অতীতে অশান্তির ঘটনার পরিপেক্ষিতে আইএসএফ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? জানতে চায় হাইকোর্ট

আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে চলছে আইএসএফ এর সভার অনুমতি সংক্রান্ত মামলা। ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আইএসএফ। এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি বলেন, ‘অন্য দল সভা করতে পারলে আইএসএফ কেন নয়?’ সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই হোক সভা। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালো কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে আইএসএফ সমর্থকদের অতীতের ভূমিকা। গত বছর রানি রাসমণি রোডের সভায় গন্ডগোলের এবং পুলিশকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি।

 

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, ‘গত বছর কী ঘটেছিল? এবং কেন ঘটেছিল? তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে আইএসএফ-কে’। এরপর মামলাকারীর আইনজীবী কে বিচারপতি বলেন, ‘তৃণমূল বা অন্যান্য দল সভা করে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে গন্ডগোলের অভিযোগ ওঠে না। কেউ উস্কানি দিতে পারে, কিন্তু নিজের সমর্থকদের আটকানো কার কাজ?’ ওই জায়গায় সভা করতে বারণ করছে না আদালত। কিন্তু স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করুক আইএসএফ। সমর্থক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজেরাই বিধিনিষেধ আরোপ করুক দল। পরামর্শ সিঙ্গেল বেঞ্চের। তবে রাজ্য জানায়, ‘ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সরিয়ে অন্যত্র করা হোক সভা’।

 

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজেদের অবস্থান জানাবে আইএসএফ এবং পুলিশ। আজ ফের শুনানি। ধর্মতলার মোড়ে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে প্রতিবছর ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। ঠিক সেই জায়গাতেই ২১ জানুয়ারি সভা করার অনুমতি চেয়েছিল আব্বাস ও নওসাদ সিদ্দিকির আইএসএফ। রাজ্য পুলিশ তাতে সম্মতি দেয়নি। কারণ, পুলিশের যুক্তি গত বছর আইএসএফের রানি রাসমণি রোডের সভায় অশান্তি হয়েছিল।এর আগে ধর্মতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সভা করতে চেয়ে পুলিশের কাছে বাধা পেয়েছিল বিজেপি। তার পর শুভেন্দু অধিকারীরা তা নিয়ে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ওখানে সভা করা নিয়ে দ্বিচারিতা কেন? তাহলে কি ওখানে তৃণমূলের সভাও বন্ধ দেব?’ এ কথা বলে বিজেপিকে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোট।

 

তিন বছর আগে ২১শে জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট গঠন করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এবার প্রতিষ্ঠা দিবসে তাঁরা ধর্মতলার মোড়ে সভা করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিলেন হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশের যুক্তি গত বছর রানি রাসমণি রোডে আইএসএফের সভায় অশান্তি হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হয়েছিল। তাই আপত্তি করা হয়েছে। একথা জেনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘সভার স্থান পরিবর্তন করতে এখনই বলা হচ্ছে না। তবে গতবারের ঝামেলা থেকে বিরত থাকতে আইএসএফ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? সে ব্যাপারে তাদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। তা ছাড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কতটা নিরাপত্তা দেওয়া যেতে পারে তা নিয়েও বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে হবে’। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আজ চুড়ান্ত রায়দান হতে পারে বলে জানা গেছে।