এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির দৌড়ে মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন আদানি

- আপডেট : ২৮ জানুয়ারী ২০২২, শুক্রবার
- / 7
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এবার এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির দৌড়ে মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার বন্ধের পরেই ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় পিছিয়ে যায় মুকেশ আম্বানি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেয়ার বাজারে পতন হলেও আদানি গ্রুপ খুব একটা ধাক্কা খায়নি। তাতেই এই উত্থান বলে মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য ধনীতম ব্যক্তির দৌড়ে এই এগিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার খবর নতুন কিছু নয়। এর আগেও ২০১১ সালে আম্বানিদের পিছনে ফেলে সামনের সারিতে ছিল আদানিদের মোট ধন সম্পত্তির মূল্য।
সেই সময়ের সম্পত্তির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগের দু’বছরে আদানির সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১,৮০৮ শতাংশ। সেই জায়গায় আম্বানির একই সময়ে সম্পদ বাড়ে ২৫০ শতাংশের মতো।
প্রসঙ্গত, ফোর্বস পত্রিকার ‘রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ’-এর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১১তম ধনীর জায়গায় রয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। সর্ব শেষ হিসাব বলছে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮৯.৫ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭২ লাখ কোটি টাকা)। সেখানে আম্বানির ৮৯.৪ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭১ লাখ কোটি টাকা)। এক ও দুইয়ে রয়েছেন আদানি ও আম্বানি। এর পরে প্রথম পাঁচে রয়েছেন যথাক্রমে শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণন দামানি এবং লক্ষ্মী মিত্তল।
প্রসঙ্গত, এখন বিশ্বের সর্বাধিক সম্পত্তির মালিক ফ্রান্সিসকো বেটনকোর্ট মেয়ার্স। তাঁর সম্পত্তি ৮২.৯ বিলিয়ন ডলার। তবে তাঁর থেকেও ধনী ভারতের আদানি ও আম্বানি।
আদানি গোষ্ঠী একটি ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থা। সংস্থার সদর দফতর ভারতের গুজরাত রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে রয়েছে। এটি ১৯৮৮ সালে গৌতম আদানি প্রধান সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের (পূর্বে আদানি এক্সপোর্টস লিমিটেড) সঙ্গে একটি পণ্য বাণিজ্যের ব্যবসায়িক সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন। গৌতম আদানি সংস্থাটির চেয়ারম্যান। এই গোষ্ঠীর বিবিধ ব্যবসার মধ্যে রয়েছে মধ্যে শক্তি, সংস্থান, রসদ, কৃষি, আবাসন, আর্থিক পরিষেবা, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ। এই গোষ্ঠীর বার্ষিক আয় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংস্থাটি ৫০ টি দেশের ৭০ টি স্থানে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
চলতি মাসেই আদানি গোষ্ঠী ইস্পাত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সুযোগ বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা ‘পস্কো’র সঙ্গে চুক্তি করেছে। লগ্নি হতে পারে প্রায় ৩৭,৫০০ কোটি টাকা। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের উপস্থিতিতে সমঝোতাপত্র সই করে আদানিরা।
অন্য দিকে, গুজরাতেই বড় মাপের বিনিয়োগ করতে চলেছে আম্বানির রিলায়্যান্সও। গুজরাতে মোট ৫.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের জন্য সমঝোতাপত্র সই করেছে রিলায়্যান্স গোষ্ঠী।