২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত শরনার্থীদের দেশ, দ্রাবিড় ও আর্যরাও শরনার্থী ছিলেন : প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 3

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক :  ফের স্বভাবচিত ভঙ্গিতে বক্তব্য রাখলেন স্পষ্টভাষী বলে পরিচিত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু বলেন, ভারত শরনার্থীদের দেশ, দ্রাবিড় ও আর্যরাও শরনার্থী ছিলেন। ভারতের মতো দেশে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ শরনার্থী বংশের। কাটজু এদিন তার বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, অনিরপেক্ষ বক্তব্যে বহু সময় মুসলিমকে বহিরাগত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো দেশে সব ধর্মের মানুষের সমান সহাবস্থান।

রবিবার উত্তরাখণ্ডের ভাটকালের আঞ্জুমানে হামি-ই-মুসলিমীন শতবর্ষ উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এই ভাবেই সরব হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু।

প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু বলেন, ভারত বহু ভাষাভাষীর দেশ। কারণ বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিভিন্ন ভাষার মানুষ ভারতে আসে। এই কারণেই আমাদের দেশ এত প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময়। কারণ আমাদের এই দেশে বিভিন্ন বর্ণের মানুষের সহাবস্থান মিলে জনসংখ্যা তৈরি হয়েছে। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সবাই আসতে চেয়েছিল। তাই সমস্ত অঞ্চল, ধর্ম এবং সংস্কৃতির লোকেরা ভারতে আসতে থাকে এবং সেখানেই ভারত বৈচিত্র্যময় হয়।

বিচারপতি কাটজু আরও বলেন, মুঘল সম্রাট আকবর ছিলেন আধুনিক ভারতের আদি স্থপতি এবং তিনি ছিলেন জাতির প্রথম পিতা। প্রাক্তন বিচারপতির আরও সংযোজন, টিপু সুলতানের মতো একজন ন্যায়পরায়ণ শাসকের ভাবমূর্তি বাধাগ্রস্ত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। টিপু সুলতান তার রাজ্যে ১৫৬টি হিন্দু মন্দিরে অনুদান পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু আজ লোকেরা তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তাকে অত্যাচারি এবং ধর্মান্ধ বলে। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, টিপু সুলতানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার এই প্রচেষ্টা অবশ্যই নস্যাৎ করতে হবে।

উত্তরপ্রদেশে দশ বছরের একটি ছেলেকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে অস্বীকার করার জন্য মারধরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা ভারতের মতো দেশকে টুকরো করে দেবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারত শরনার্থীদের দেশ, দ্রাবিড় ও আর্যরাও শরনার্থী ছিলেন : প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু

আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক :  ফের স্বভাবচিত ভঙ্গিতে বক্তব্য রাখলেন স্পষ্টভাষী বলে পরিচিত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু বলেন, ভারত শরনার্থীদের দেশ, দ্রাবিড় ও আর্যরাও শরনার্থী ছিলেন। ভারতের মতো দেশে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ শরনার্থী বংশের। কাটজু এদিন তার বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, অনিরপেক্ষ বক্তব্যে বহু সময় মুসলিমকে বহিরাগত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো দেশে সব ধর্মের মানুষের সমান সহাবস্থান।

রবিবার উত্তরাখণ্ডের ভাটকালের আঞ্জুমানে হামি-ই-মুসলিমীন শতবর্ষ উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এই ভাবেই সরব হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু।

প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু বলেন, ভারত বহু ভাষাভাষীর দেশ। কারণ বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিভিন্ন ভাষার মানুষ ভারতে আসে। এই কারণেই আমাদের দেশ এত প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময়। কারণ আমাদের এই দেশে বিভিন্ন বর্ণের মানুষের সহাবস্থান মিলে জনসংখ্যা তৈরি হয়েছে। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সবাই আসতে চেয়েছিল। তাই সমস্ত অঞ্চল, ধর্ম এবং সংস্কৃতির লোকেরা ভারতে আসতে থাকে এবং সেখানেই ভারত বৈচিত্র্যময় হয়।

বিচারপতি কাটজু আরও বলেন, মুঘল সম্রাট আকবর ছিলেন আধুনিক ভারতের আদি স্থপতি এবং তিনি ছিলেন জাতির প্রথম পিতা। প্রাক্তন বিচারপতির আরও সংযোজন, টিপু সুলতানের মতো একজন ন্যায়পরায়ণ শাসকের ভাবমূর্তি বাধাগ্রস্ত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। টিপু সুলতান তার রাজ্যে ১৫৬টি হিন্দু মন্দিরে অনুদান পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু আজ লোকেরা তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তাকে অত্যাচারি এবং ধর্মান্ধ বলে। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, টিপু সুলতানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার এই প্রচেষ্টা অবশ্যই নস্যাৎ করতে হবে।

উত্তরপ্রদেশে দশ বছরের একটি ছেলেকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে অস্বীকার করার জন্য মারধরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা ভারতের মতো দেশকে টুকরো করে দেবে।