৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদে রাহুলকে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ, স্পিকারকে চিঠি ইন্ডিয়ার সদস্যদের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
  • / 90

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আবেদনপত্র জমা দিলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল। বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধিকে সংসদে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে আবেদনপত্র জমা বিরোধীদের। সেই সঙ্গে ট্রেজারি বেঞ্চে ইন্ডিয়ার সদস্যদের পরিকল্পিতভাবে চুপ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং ইন্ডিয়ার অন্যান্য সংদস্য এই আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। আবেদনপত্রে ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে একজন বিরোধী সদস্যকে রাখার কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সরকারের আলোচনায় অনীহার দিকটিও উল্লেখ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেছেন, “আমরা চিঠিতে লিখছি যে, শাসক দল কীভাবে সংসদের ঐতিহ্য, নিয়ম এবং সংস্কৃতি লঙ্ঘন করছে।”

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে সরকারি হোমে খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৬, মৃত্যু চার শিশুর

বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে সংসদে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে ন। তারপরই ইন্ডিয়ার সদস্যরা স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে আবদেনপত্রটি জমা দেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের আচরণ নিয়ে তিরস্কার করেছিলেন। স্পিকার কোনও বিষয় নিয়ে স্পষ্ট করে না জানালেও বিজেপির সোশাল মিডিয়া প্রধান অমিত মালব্য রাহুলকে অসংসদীয় আচরণ করা জন্য তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেই সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সংসদ চলাকালীন রাহুল তার বোন তথা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরার গাল চেপে ধরেছিলেন। পরে বিজেপির অফিসিয়াল হ্যান্ডলেও ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। স্পিকারের সঙ্গে আলোচনায় বিরোধী জোটের সদস্যরা ভিডিওটির প্রসঙ্গ তুলে সমালোচনা করেন। রাহুলকে রাজনৈতিকভাবে লক্ষ করার জন্য ভিডিওটি ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বিজেপির সমালোচনা করা হয়।

 

গৌরব গগৈ সাংবাদিকদের বলেন, “স্পিকার বলেছেন যে এলওপির ৩৪৯ ধারা অনুসরণ করা উচিত। তবে তিনি কোন ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তা স্পষ্ট করেননি। সন্ধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে হাউসের বাইরে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল।” কংগ্রেসের এক সদস্য বলেছেন, “আমরা স্পিকারকে জানিয়েছি সংসদে একটি প্রচলিত রীতি রয়েছে, যে যখনই এলওপি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে চান  তখন তাকে তা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এই লোকসভায়, বিরোধীদের খুবই কম কথা বলতে দেওয়া হয়।”  বিরোধী সাংসদরা কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে  মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে সেই অভিযোগ তোলেন বিরোধী জোটের সদস্যরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংসদে রাহুলকে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ, স্পিকারকে চিঠি ইন্ডিয়ার সদস্যদের

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আবেদনপত্র জমা দিলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল। বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধিকে সংসদে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে আবেদনপত্র জমা বিরোধীদের। সেই সঙ্গে ট্রেজারি বেঞ্চে ইন্ডিয়ার সদস্যদের পরিকল্পিতভাবে চুপ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং ইন্ডিয়ার অন্যান্য সংদস্য এই আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। আবেদনপত্রে ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে একজন বিরোধী সদস্যকে রাখার কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সরকারের আলোচনায় অনীহার দিকটিও উল্লেখ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেছেন, “আমরা চিঠিতে লিখছি যে, শাসক দল কীভাবে সংসদের ঐতিহ্য, নিয়ম এবং সংস্কৃতি লঙ্ঘন করছে।”

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে সরকারি হোমে খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৬, মৃত্যু চার শিশুর

বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে সংসদে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে ন। তারপরই ইন্ডিয়ার সদস্যরা স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে আবদেনপত্রটি জমা দেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের আচরণ নিয়ে তিরস্কার করেছিলেন। স্পিকার কোনও বিষয় নিয়ে স্পষ্ট করে না জানালেও বিজেপির সোশাল মিডিয়া প্রধান অমিত মালব্য রাহুলকে অসংসদীয় আচরণ করা জন্য তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেই সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সংসদ চলাকালীন রাহুল তার বোন তথা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরার গাল চেপে ধরেছিলেন। পরে বিজেপির অফিসিয়াল হ্যান্ডলেও ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। স্পিকারের সঙ্গে আলোচনায় বিরোধী জোটের সদস্যরা ভিডিওটির প্রসঙ্গ তুলে সমালোচনা করেন। রাহুলকে রাজনৈতিকভাবে লক্ষ করার জন্য ভিডিওটি ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বিজেপির সমালোচনা করা হয়।

 

গৌরব গগৈ সাংবাদিকদের বলেন, “স্পিকার বলেছেন যে এলওপির ৩৪৯ ধারা অনুসরণ করা উচিত। তবে তিনি কোন ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তা স্পষ্ট করেননি। সন্ধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে হাউসের বাইরে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল।” কংগ্রেসের এক সদস্য বলেছেন, “আমরা স্পিকারকে জানিয়েছি সংসদে একটি প্রচলিত রীতি রয়েছে, যে যখনই এলওপি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে চান  তখন তাকে তা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এই লোকসভায়, বিরোধীদের খুবই কম কথা বলতে দেওয়া হয়।”  বিরোধী সাংসদরা কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে  মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে সেই অভিযোগ তোলেন বিরোধী জোটের সদস্যরা।