১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-অঙ্কে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির চেয়ে এগিয়ে ভারতীয় মেয়েরা: মোদি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, শনিবার
  • / 7

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  এ বছর দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা ভোট। তার আগে বিজেপি সরকারের উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো শুরু হয়ে গিয়েছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেট পরবর্তী ১২টি ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখছেন তিনি। শনিবার ছিল একাদশতম ওয়েবিনার। এদিন মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। বিপুল ভোটে জিততে গেলে যে মহিলাদের সমর্থন প্রয়োজন, তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপি নেতারা।

‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর মতো স্কিম আপাতভাবে ব্যর্থ হলেও প্রচারণা বন্ধ নেই। দেশে নারীদের নিরাপত্তা নেই। ধর্ষকরা ছাড়া ছেড়ে পেয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে মোদির ভাষণে একটি কথাও ছিল না। অথচ দিনকয়েক আগে তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইনকেও নিজেদের সরকারের নারী ক্ষমতায়নের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিগত ৯ বছর ধরে মহিলা-চালিত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে দেশ এগিয়ে চলেছে। সঙ্কল্পের ক্ষেত্রে নারীশক্তির দৃঢ়তা, কল্পনা, ইচ্ছাশক্তি, লক্ষ্য অর্জনে তাদের সক্ষমতা এবং কঠিন প্রয়াস শক্তির প্রতিফলন। পাশাপাশি, এ দেশের নারীরা বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে আমেরিকা, ব্রিটেনের চেয়েও এগিয়ে বলে তিনি দাবি করেন।

মোদি বলেন, মহিলা সশক্তিকরণের প্রয়াসের ফল প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে এবং দেশের সমাজ জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আমরা অনুভব করছি।

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গত ৯-১০ বছরে হাইস্কুল ও তার পরবর্তী শিক্ষাক্রমে পাঠরত ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরি এবং গণিতশাস্ত্রে মেয়েদের যুক্ত হওয়ার সংখ্যা আজ প্রায় ৪৩ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জার্মানির তুলনায় এই সংখ্যা বেশি। চিকিৎসা, ক্রীড়া, ব্যবসা অথবা রাজনীতির মতো ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের সংখ্যা বাড়ছেই তা নয়, তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পশুপালন, মৎস্যচাষ, গ্রামীণ শিল্প ও ক্রীড়াক্ষেত্রেও মহিলাদের সংখ্যা বাড়ছে। গৃহস্থালীর অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘পিএম আবাস’ মহিলাদেরকে নতুন কন্ঠ দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ছোট উদ্যোগপতি হিসেবে মহিলারা যে অবদান রাখছেন তাই নয়, সক্ষম আর্থিক ব্যক্তি হিসেবেও তারা নিজেদের গড়ে তুলছেন। ‘ব্যাঙ্ক সখী’, ‘কৃষি সখী’, ‘পশু সখী’ কর্মসূচিগুলি গ্রামীণ বিকাশে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দেশের কন্যাদের জাতীয় সুরক্ষায় ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে। রাফায়েল যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন তারা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনে নাগাল্যান্ডে এই প্রথমবার দুই মহিলা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এদের একজন মন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-অঙ্কে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির চেয়ে এগিয়ে ভারতীয় মেয়েরা: মোদি

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  এ বছর দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা ভোট। তার আগে বিজেপি সরকারের উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো শুরু হয়ে গিয়েছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেট পরবর্তী ১২টি ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখছেন তিনি। শনিবার ছিল একাদশতম ওয়েবিনার। এদিন মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। বিপুল ভোটে জিততে গেলে যে মহিলাদের সমর্থন প্রয়োজন, তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপি নেতারা।

‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর মতো স্কিম আপাতভাবে ব্যর্থ হলেও প্রচারণা বন্ধ নেই। দেশে নারীদের নিরাপত্তা নেই। ধর্ষকরা ছাড়া ছেড়ে পেয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে মোদির ভাষণে একটি কথাও ছিল না। অথচ দিনকয়েক আগে তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইনকেও নিজেদের সরকারের নারী ক্ষমতায়নের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিগত ৯ বছর ধরে মহিলা-চালিত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে দেশ এগিয়ে চলেছে। সঙ্কল্পের ক্ষেত্রে নারীশক্তির দৃঢ়তা, কল্পনা, ইচ্ছাশক্তি, লক্ষ্য অর্জনে তাদের সক্ষমতা এবং কঠিন প্রয়াস শক্তির প্রতিফলন। পাশাপাশি, এ দেশের নারীরা বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে আমেরিকা, ব্রিটেনের চেয়েও এগিয়ে বলে তিনি দাবি করেন।

মোদি বলেন, মহিলা সশক্তিকরণের প্রয়াসের ফল প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে এবং দেশের সমাজ জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আমরা অনুভব করছি।

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গত ৯-১০ বছরে হাইস্কুল ও তার পরবর্তী শিক্ষাক্রমে পাঠরত ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরি এবং গণিতশাস্ত্রে মেয়েদের যুক্ত হওয়ার সংখ্যা আজ প্রায় ৪৩ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জার্মানির তুলনায় এই সংখ্যা বেশি। চিকিৎসা, ক্রীড়া, ব্যবসা অথবা রাজনীতির মতো ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের সংখ্যা বাড়ছেই তা নয়, তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পশুপালন, মৎস্যচাষ, গ্রামীণ শিল্প ও ক্রীড়াক্ষেত্রেও মহিলাদের সংখ্যা বাড়ছে। গৃহস্থালীর অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘পিএম আবাস’ মহিলাদেরকে নতুন কন্ঠ দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ছোট উদ্যোগপতি হিসেবে মহিলারা যে অবদান রাখছেন তাই নয়, সক্ষম আর্থিক ব্যক্তি হিসেবেও তারা নিজেদের গড়ে তুলছেন। ‘ব্যাঙ্ক সখী’, ‘কৃষি সখী’, ‘পশু সখী’ কর্মসূচিগুলি গ্রামীণ বিকাশে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দেশের কন্যাদের জাতীয় সুরক্ষায় ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে। রাফায়েল যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন তারা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনে নাগাল্যান্ডে এই প্রথমবার দুই মহিলা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এদের একজন মন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন।