সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রশ্নের জবাবে ভারতের বক্তব্য

- আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
- / 8
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে (ইউএনএইচআরসি) বহুলালোচিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রসঙ্গে ভারত বলেছে, ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-২০১৯ একটি সীমিত এবং কেন্দ্রীভূত আইন যা এই অঞ্চলে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের কল্যাণে দেশটির প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় নেয়।
জেনেভায় ভারতের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ অফ হিউম্যান রাইটস রেকর্ডস (ইউপিআর) চলার মধ্যে কিছু সদস্য দেশ ‘সিএএ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিছু সদস্য দেশ বিদেশি অবদান (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১০ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আয়ারল্যান্ড বিদেশি অবদান (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যার অধীনে ৬ হাজারেরও বেশি ‘এনজিও’র লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
ভারত বলেছে, অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যম পরিবর্তন করা এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার নিয়ম এবং কর আইনের ক্রমাগত লঙ্ঘন সহ বেআইনি কার্যকলাপ চালানোর জন্য কিছু নাগরিক সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে আইনের আওতার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এফসিআরএ সম্পর্কিত সদস্য দেশগুলোর প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ভুল উপায়ে অর্থ লেনদেন এবং ভারতের বিদ্যমান আইনি বিধান, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার নিয়ম এবং কর আইনের ইচ্ছাকৃত এবং অবিরাম লঙ্ঘন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি পুনর্ব্যক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ যে বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভারতে কাজ করার অনুমতি আছে, তবে তাদের অবশ্যই আইনের সীমার মধ্যে কাজ করতে হবে।’
ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রতি ‘এফসিআরএ’ সম্পর্কিত লাইসেন্সিং সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা উন্নত করতে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
২০২০ সালে ‘সিএএ’ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের মানবিধার কাউন্সিল প্রশ্ন তুললে সে-সময়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে সাফ জানানো হয় ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ভারতের সংসদের আইন প্রণয়নের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনও বিদেশি সংগঠনের ভারতের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।’
আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি ‘সিএএ’ সাংবিধানিকভাবে বৈধ এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধগুলোর সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলোর অনুবর্তী বলেও বিদেশ মন্ত্রক থেকে সে-সময়ে মন্তব্য করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক মুখপাত্র সে-সময় বলেছিলেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের এই সংশোধন দেশের মানুষের জাতীয়তায় বৈষম্যমূলক প্রভাব ফেলবে। সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরই সুরক্ষা, সম্মান ও মানবিক আধিকার পূর্ণ হওয়ার অধিকার রয়েছে বলেও ওই মুখপাত্র মন্তব্য করেছিলেন।