১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাম তেল রফতানি কমাবে ইন্দোনেশিয়া

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তেল রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া। মূলত নিজ দেশের  চাহিদা পূরণ করতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দেশটি। বর্তমানে পাম তেল উৎপাদনকারীরা ইন্দোনেশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে যে পরিমাণ তেল বিক্রি  করে থাকেন তার ৮ গুণ রফতানি করতে পারেন।

 

কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রফতানি ৬ গুণ করা হবে। ইন্দোনেশিয়ার মেরিটাইম অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট  অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের কর্মকর্তা সেপ্তিয়ান হারিও বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিতে বিশেষ করে বছরের প্রথম ৪ মাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ সেতিও আরও জানান, অভ্যন্তরীণ বাজার পরিস্থিতি, ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও দাম বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে রফতানির  পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।

 

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে তেল রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইন্দোনেশিয়া। দেশটির বাজারে  ভোজ্যতেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়াই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। সে সময় এর প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে। বর্তমানে  ইন্দোনেশিয়ার সরকার পাম তেল রফতানিকারকদের ওপর ডমেস্টিক মার্কেট অবলিগেশন (ডিএমও) আরোপ করে রেখেছে। এর আওতায় তেল  উৎপাদক ও রফতানিকারকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল জাতীয় বাজারে বিক্রি করতে হয়।

 

বাকি তেল রফতানি করতে পারে তারা। গত সপ্তাহে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ইন্দোনেশিয়ান পাম ওয়েল অ্যাসোসিয়েশেন (গ্যাপকি)। ওই বৈঠকে গ্যাপকির সাধারণ সম্পাদক এডি মারতোনো  জানান, ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিয়ে চিন্তা থেকেই যাবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। আগামী মার্চে পবিত্র রমযান মাস পালন করবে দেশটি। সে সময় অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি তেলের চাহিদা বাড়বে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাম তেল রফতানি কমাবে ইন্দোনেশিয়া

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তেল রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া। মূলত নিজ দেশের  চাহিদা পূরণ করতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দেশটি। বর্তমানে পাম তেল উৎপাদনকারীরা ইন্দোনেশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে যে পরিমাণ তেল বিক্রি  করে থাকেন তার ৮ গুণ রফতানি করতে পারেন।

 

কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রফতানি ৬ গুণ করা হবে। ইন্দোনেশিয়ার মেরিটাইম অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট  অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের কর্মকর্তা সেপ্তিয়ান হারিও বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিতে বিশেষ করে বছরের প্রথম ৪ মাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ সেতিও আরও জানান, অভ্যন্তরীণ বাজার পরিস্থিতি, ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও দাম বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে রফতানির  পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।

 

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে তেল রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইন্দোনেশিয়া। দেশটির বাজারে  ভোজ্যতেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়াই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। সে সময় এর প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে। বর্তমানে  ইন্দোনেশিয়ার সরকার পাম তেল রফতানিকারকদের ওপর ডমেস্টিক মার্কেট অবলিগেশন (ডিএমও) আরোপ করে রেখেছে। এর আওতায় তেল  উৎপাদক ও রফতানিকারকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল জাতীয় বাজারে বিক্রি করতে হয়।

 

বাকি তেল রফতানি করতে পারে তারা। গত সপ্তাহে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ইন্দোনেশিয়ান পাম ওয়েল অ্যাসোসিয়েশেন (গ্যাপকি)। ওই বৈঠকে গ্যাপকির সাধারণ সম্পাদক এডি মারতোনো  জানান, ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিয়ে চিন্তা থেকেই যাবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। আগামী মার্চে পবিত্র রমযান মাস পালন করবে দেশটি। সে সময় অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি তেলের চাহিদা বাড়বে।