১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পবিত্র কুরআন অবমাননা নরওয়েতে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নরওয়ের বুকে ফের একবার ইসলাম বিদ্বেষ। দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত এক এলাকায় পবিত্র কুরআনে আগুন লাগানো হয়েছে। এই পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা করেছে এক বর্ণবিদ্বেষী ব্যক্তি। কুরআনে আগুন লাগানোর পর এক মুসলিম নারী ওই বর্ণবিদ্বেষী ব্যক্তিকে গাড়ি নিয়ে তাড়া করে।

 

এরপর সেই গাড়িতে জোরে ধাক্কাও মারেন ওই মুসলিম মহিলা। পরবর্তীতে নরওয়ের পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর ‘নরওয়ের ইসলামীকরণ বন্ধ করুন’ নামক একটি আন্দোলনে নেতা লার্স থর্সেন রাজধানী অসলোর উপকণ্ঠে এই কাজ করেছে। ঘটনাস্থলে থাকা কিছু মুসলিম এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। জঘন্য কাজের প্রতিবাদ জানাতে ক্রমশ ভিড় বাড়তে থাকে।

 

পুলিশ দাবি করেছে, ওই মুসলিম নারী ক্ষোভের বশে ইচ্ছাকৃতভাবে বর্ণবাদী ব্যক্তির গাড়িতে আঘাত করেছে। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, আঘাত প্রাপ্ত গাড়িতে থাকা পাঁচজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছে এবং তাদের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

সাম্প্রতি সময়ে ড্যানিশ-সুইডিশ ‘রাসমুস পালুদান’-সহ অতি-ডানপন্থী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ইসলাম-বিরোধী কর্মীরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় পবিত্র কুরআনে আগুন লাগানোকে একটি বিনোদনমূলক কাজে পরিণত করেছে। বেশকিছু ইউরোপীয় দেশ এই কাজকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসাবে দেখছে। তবে বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন এমন কাজকে মানতে পারছেন না।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পবিত্র কুরআন অবমাননা নরওয়েতে

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নরওয়ের বুকে ফের একবার ইসলাম বিদ্বেষ। দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত এক এলাকায় পবিত্র কুরআনে আগুন লাগানো হয়েছে। এই পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা করেছে এক বর্ণবিদ্বেষী ব্যক্তি। কুরআনে আগুন লাগানোর পর এক মুসলিম নারী ওই বর্ণবিদ্বেষী ব্যক্তিকে গাড়ি নিয়ে তাড়া করে।

 

এরপর সেই গাড়িতে জোরে ধাক্কাও মারেন ওই মুসলিম মহিলা। পরবর্তীতে নরওয়ের পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর ‘নরওয়ের ইসলামীকরণ বন্ধ করুন’ নামক একটি আন্দোলনে নেতা লার্স থর্সেন রাজধানী অসলোর উপকণ্ঠে এই কাজ করেছে। ঘটনাস্থলে থাকা কিছু মুসলিম এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। জঘন্য কাজের প্রতিবাদ জানাতে ক্রমশ ভিড় বাড়তে থাকে।

 

পুলিশ দাবি করেছে, ওই মুসলিম নারী ক্ষোভের বশে ইচ্ছাকৃতভাবে বর্ণবাদী ব্যক্তির গাড়িতে আঘাত করেছে। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, আঘাত প্রাপ্ত গাড়িতে থাকা পাঁচজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছে এবং তাদের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

সাম্প্রতি সময়ে ড্যানিশ-সুইডিশ ‘রাসমুস পালুদান’-সহ অতি-ডানপন্থী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ইসলাম-বিরোধী কর্মীরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় পবিত্র কুরআনে আগুন লাগানোকে একটি বিনোদনমূলক কাজে পরিণত করেছে। বেশকিছু ইউরোপীয় দেশ এই কাজকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসাবে দেখছে। তবে বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন এমন কাজকে মানতে পারছেন না।